প্রধানমন্ত্রীকে লেখা জো বাইডেনের চিঠি নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার
নিউজ ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রীকে লেখা জো বাইডেনের চিঠি নিয়ে বিএনপির অপপ্রচার
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা শুভেচ্ছা বার্তা নিয়ে অপপ্রচার করছে বিএনপি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ গণমাধ্যমেও মিথ্যাচার করছে দলটির নেতাকর্মীরা।
তারা বলছেন, স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি পাঠিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
মূল বিষয় হলো- বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বাধীনতা দিবসে আমেরিকা যে বিবৃতি দিয়ে থাকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটিই হয়েছে। স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের মতো অনেক দেশই বাংলাদেশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। আর বিএনপি নেতারা মানবাধিকার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলে জনমনে এক ধরনের বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে।
মূলত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা জো বাইডেনের চিঠিতে বাংলাদেশ বা সরকারের পক্ষেই বলা হয়েছে। কারণ, চিঠিতে ১৯৭১ সালের গৌরবোজ্জ্বল মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গ টানা হয়েছে। চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সবচেয়ে বেশি সৈন্য পাঠানোর মাধ্যমে ঝুঁকির মুখে থাকা মানুষদের রক্ষায় বাংলাদেশের অবদানের প্রশংসা করেছেন। একইসঙ্গে, মহামারী মোকাবেলায় গ্লোবাল অ্যাকশন প্ল্যানের মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক যৌথ আয়োজন করায় তিনি বাংলাদেশকে ধন্যবাদও জানান। আবার ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বে সহমর্মিতা ও মহানুভবতা প্রকাশের উদাহরণ তৈরি করেছে বলে উল্লেখ করেছেন।
এছাড়া অর্থনৈতিক অগ্রগতি, জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্ক শক্তিশালী করা, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় অংশীদারত্ব এবং সমৃদ্ধ, নিরাপদ, গণতান্ত্রিক ও স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে যৌথভাবে কাজ করার কথা তুলে ধরেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন । পরিশেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বাংলাদেশের জনগণকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা জানিয়ে ‘জয় বাংলা’ লিখে চিঠির ইতি টানেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট। যেখানে উত্তেজনা ছড়ানোর মতো কিছুই নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের স্বাধীনতা দিবসে যুক্তরাষ্ট্র যে বিবৃতি দিয়ে থাকে বাংলাদেশের ক্ষেত্রে সেটিই হয়েছে। এটা একটা গতানুগতিক একটি চিঠি। এই চিঠি নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করার চেষ্টা করেছে। শুধু এই চিঠি নয় বিএনপি নেতারা সব বিষয় নিয়ে অপরাজনীতি অপপ্রচারের রাজনীতি করে। কারণ দলটির নেতাদের রাজনৈতিক মুরদ- শুধুমাত্র গুজব আর অপপ্রচার ছড়ানো।
- যৌবনকালে পরীমনির মতোই উশৃঙ্খল ছিলেন খালেদা জিয়া
- পরীমনিকে অশ্লীল সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ করে দেয় তারেক
- আল-জাজিরা গণমাধ্যম নাকি জঙ্গি সংগঠন
- মিয়া খলিফাকে পিছনে ফেললো শামা ওবায়েদের পর্ন ভিডিও
- বিএনপির ব্যর্থতা স্বীকার করলেন মির্জা ফখরুল
- জাইমা নয়, ইশরাকের পছন্দ জাফিয়া রহমানকে
- মদ, জুয়া ও স্ত্রীকে মারধর করে নতুন বছর শুরু করলেন তারেক!
- আওয়ামী লীগের বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিকের সপ্তম পর্ব শনিবার
- ‘গুজব কিং’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছে তাসনিম খলিল
- একাধিক বিয়ে ও পরকীয়ার অভিযোগ তুললেন প্রথম স্বামী হাবিব