ঈশ্বরগঞ্জে বাদাম চাষীর ভাগ্য বদলের গল্প
নিউজ ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের বড়হিত ইউনিয়নের চরপুম্বাইল গ্রামের সফল বাদাম চাষী দেলোয়ার হোসেন দেলু। তিনি ৫বছর সৌদী আরবে চাকুরী করার পর ২বছর পূর্বে বাড়িতে আসেন এবং বাণিজ্যিক ভাবে সল্পকালীন ফসল উৎপাদনের ইচ্ছা থেকেই বাদাল চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন।
পৈতৃক সুত্রে পাওয়া কাঁচামাটিয়া নদীর তীরে অবস্থিত দুই একর জমিতে সল্পকালীন বিভিন্ন প্রকার সবজি ও বাদাম চাষ করেন। চলতি মৌসুমসহ ২বার তিনি এই ফসলটি চাষ করেছেন। প্রথমবার বাদামের জাত নির্বাচনও চাষাবাদের নিয়ম কানুন সম্পর্কে জানা না থাকায় সে সময় তেমন সুবিদা করতে না পারলেও যে ফলন পেয়ে ছিলো তাতেই পোষিয়েছে। এবছর উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করে যথা সময়ে সঠিক পদ্দতিতে চাষাবাদ শুরু করেন দেলোয়ার হোসেন দেলু, পরামর্শ নেন কৃষি বিভাগের। ফলে গত বছরের তুলনায় এবছর বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাদাম চাষী দেলোয়ার হোসেন দেলু বলেন, বিদেশ থেকে দেশে আসার পর, দেশে কি কাজ করবো ভেবে পাচ্ছিলাম না। যে জমি আছে সে গুলো বোরো ধান আবাদ করা যায় না। পরে সবজি চাষ করার সিদ্ধান্ত নেই। মৌসুম ভিত্তিক বিভিন্ন সবজি চাষ করি।
কৃষি বিভাগের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আখছার খানের পরামর্শে সল্পকালীন ফসল বাদাম চাষের প্রতি আগ্রহী হই। তিনি আরো বলেন প্রতি ১০শতকে আড়াই থেকে তিন মন বাদাম উৎপাদনের সম্ভাবনা বয়েছে। বাদামের বাজার মুল্য মন (৪০ কেজি) প্রতি তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা হয়ে থাকে। প্রতিবছর চাষাবাদের খরচ বাদে প্রায় লাখ টাকা আয় করা সম্ভব যা বিদেশে থেকে করা সম্ভব না।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার শাখা নদী কাঁচামাটিয়ার তীরবর্তী বেলে দোয়াশ মাটিতে বাদামের চাষাবাদ হয়ে থাকে, চলতি বছর এ উপজেলার চরাঞ্চলের প্রায় ৫হেক্টর জমিতে বাদাল চাষ হয়েছে।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আলী আখছার খানের সাথে কথা হলে তিনি জানান, বাদাম চাষের আগ্রহ এই অঞ্চলের চাষীদের মধ্যে কম। উৎপাদন ও বাজার মূল্য ভাল হলে আগামীতে আরো চাষী সল্পকালীন এই ফসল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠবে। রোগ বালাই বলতে গোড়া পঁচা ও পাতায় দাগ দেখা দেয়। তার জন্য ছত্রাক নাশক প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়। পোকার আক্রমনও হয় না।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাধন কুমার গুহ মজুমদার বলেন, চরাঞ্চলে বাদামের চাষাবাদ হয়। অফিসের সাথে পরামর্শ করলে উন্নত ও অধিক ফলনশীল জাত ঢাকা-১ এবং বারি-৪, আবাদের জন্য বলা হয়ে থাকে। যে সকল চাষী অধিক ফলনশীল জাতের বাদাম চাষ করেছেন তাঁরাই অধিক ফলন বা বাম্পার ফলনের আশা করতে পাড়ে।
- ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় পাশ ৮০.১৩ শতাংশ
- ভালুকায় শিল্পপতির পা কেটে নেওয়ায় প্রধান আসামীসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- ময়মনসিংহে কেওয়াটখালী সেতুর জন্য ২৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ বরাদ্দ
- ঝিনাইদহে ‘জিনের আছরে’ নারকেল গাছে নারী, উদ্ধার করলো ফায়ার সার্ভিস
- রাজধানীর ১৫ থানায় আনসার-ভিডিপির ত্রাণ বিতরণ
- ঈশ্বরগঞ্জে বাদাম চাষীর ভাগ্য বদলের গল্প
- নরসুন্দর, রঙমিস্ত্রী ও কর্মহীন ১০০ জনকে জেলা প্রশাসনের সহায়তা
- নৌকা চালিয়ে ও টিউশনি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে শাপলু
- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার ফজলুল কবির
- মারা গেলেন মুক্তিযোদ্ধা প্রলয় মৈত্র