বিএনপি নেতাদের চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে : সেতুমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের ‘আওয়ামী লীগ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর প্রেতাত্মা’—এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘এই মন্তব্য শতাব্দীর সেরা কৌতুক শুধু নয়, মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে তাদের চরম বিদ্বেষ ও আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ। আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি নেতারা এমন অসংলগ্ন প্রলাপ বকছেন। মনে হয় রাজনৈতিক নেতা হিসেবে তাদের বিবেক-বুদ্ধিই শুধু হারায়নি, চক্ষুলজ্জাও হারিয়ে গেছে।’
সম্প্রতি আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়ার সই করা এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বাঙালি জাতি ও বাংলাদেশের ইতিহাসের সঙ্গে আওয়ামী লীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালি জাতি ঐক্যবদ্ধ লড়াই-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ৩০ লাখ শহীদের রক্ত ও আড়াই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে এ দেশের স্বাধীনতা অর্জন করে। মির্জা ফখরুলের এ ধরনের অশালীন ও ধৃষ্টতাপূর্ণ মন্তব্য শুধু আওয়ামী লীগের সুমহান ঐতিহ্যকে অসম্মানিত করেনি, বরং ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগকেও অপমানিত করেছে। একই সঙ্গে তিনি সমগ্র জাতি ও জনগণের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। তার ঔদ্ধত্যপূর্ণ মন্তব্য জাতির অনুভূতিতে চরমভাবে আঘাত হেনেছে। আমরা মির্জা ফখরুলের ঔদ্ধত্যপূর্ণ বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে প্রণীত হয় স্বাধীন বাংলাদেশের সংবিধান। পাকিস্তান শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আন্দোলন-সংগ্রামে যে নীতি-আদর্শ শক্তি ও প্রেরণা জুগিয়েছে, তা এ রাষ্ট্রের মূলনীতি হিসেবে সংবিধানে প্রতিফলিত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম জাতীয়তাবাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি জন্মলগ্ন থেকে আদর্শগতভাবে এ রাষ্ট্রের জন্মের মূল চেতনাবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। মির্জা ফখরুল কিছু দিন আগে মন্তব্য করেছিলেন পাকিস্তান আমলে ভালো ছিলাম। তাদের পাকিস্তান প্রীতি নতুন কোনও বিষয় নয়।’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সামরিক স্বৈরশাসক জিয়াউর রহমান এ দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়ে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে বাংলাদেশকে পরিচালিত করেছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুনর্বাসিত করে সাম্প্রদায়িক রাজনীতির ধারাকে পরিপুষ্ট করেছিল। তার পদাঙ্ক অনুসরণ করে খালেদা জিয়া একইভাবে পাকিস্তানি ভাবাদর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছেন।’
সাধারণ সম্পাদক বলেন, ক্ষমতা দখলের নীলনকশা বাস্তবায়নে ১৯৯১ সালে জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি পাকিস্তানের আইএসআইয়ের কাছ থেকে অর্থ সহায়তা নিয়েছিল বলে কয়েক বছর আগে সে দেশের আদালতে সংস্থাটির তৎকালীন প্রধান জবানবন্দিতে উল্লেখ করেছিল। অন্যদিকে পরাজিত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর এক জেনারেল আসিফ নাওয়াজ জানজুয়ার মৃত্যুতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে খালেদা জিয়া শোকবার্তা পাঠিয়ে জাতির ঐতিহাসিক সংগ্রামের চেতনার মূলভিত্তিতে আঘাত করেছিল। বিএনপি চেতনায় ও মননে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ও তার প্রতিভূ পাকিস্তানকে ধারণ করে।
আজ সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বিশ্বসভায় মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এমনকি মুক্তিযুদ্ধে পরাজিত পাকিস্তানের গণমাধ্যমেও বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনার ভূয়সী প্রশংসা করা হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয়, মিলিটারি ডিক্টেটর জিয়াউর রহমানের পকেট থেকে পাকিস্তানি দর্শনের ওপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠিত হয় বিএনপি; যে দল বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে এখনও মানসিকভাবে মেনে নিতে পারেনি। এটা তাদের মানসিক দৈন্য।’
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আজ যখন দেশের মানুষ স্বাধীনতার সুফল ভোগ করছে, তখনও বিএনপি নেতারা স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণকারী পুরো দেশবাসী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজ ঐক্যবদ্ধ এবং তারা ভবিষ্যতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণ করবে, ইনশাআল্লাহ।’
- যৌবনকালে পরীমনির মতোই উশৃঙ্খল ছিলেন খালেদা জিয়া
- পরীমনিকে অশ্লীল সিনেমায় অভিনয় করার সুযোগ করে দেয় তারেক
- আল-জাজিরা গণমাধ্যম নাকি জঙ্গি সংগঠন
- মিয়া খলিফাকে পিছনে ফেললো শামা ওবায়েদের পর্ন ভিডিও
- বিএনপির ব্যর্থতা স্বীকার করলেন মির্জা ফখরুল
- জাইমা নয়, ইশরাকের পছন্দ জাফিয়া রহমানকে
- মদ, জুয়া ও স্ত্রীকে মারধর করে নতুন বছর শুরু করলেন তারেক!
- আওয়ামী লীগের বিয়ন্ড দ্য প্যানডেমিকের সপ্তম পর্ব শনিবার
- ‘গুজব কিং’ হিসেবে কুখ্যাতি পেয়েছে তাসনিম খলিল
- একাধিক বিয়ে ও পরকীয়ার অভিযোগ তুললেন প্রথম স্বামী হাবিব