আজ আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস
ফিচার ডেস্ক

আজ আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস
প্রতিবছর প্রতিমাসের নির্দিষ্ট কিছু দিনে কিছু দিবস পালিত হয়। নির্দিষ্ট দিনে অতীতের কোনো গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাকে স্মরণ করা বা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতেই এই সব দিবস পালিত হয়। বিশ্বে পালনীয় সেই সব দিবসগুলোর মধ্যে একটি হলো ' আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস '।
প্রতি বছর ৫ সেপ্টেম্বর সারা বিশ্বে আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস পালন করা হয়ে থাকে। স্বেচ্ছাসেবক ও জনহিতকর কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে অন্যকে সহায়তা করার জন্য বিশ্বজুড়ে মানুষ, এনজিও ও বিভিন্ন সংস্থাকে সংবেদনশীল ও সংহত করার লক্ষ্যে এবং দরিদ্র ও অসহায় মানুষদের জন্য মাদার তেরেসার অক্লান্ত পরিশ্রমকে সম্মান জানানোর উদ্দেশ্যে ‘আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস ' পালন করা হয়ে থাকে।
২০১২ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপুঞ্জ ৫ সেপ্টেম্বরকে ‘আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস' হিসেবে মনোনীত করে এবং ২০১৩ সালে প্রথম এই দিনটি পালন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। দারিদ্রতা পৃথিবীর সব দেশেই অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিস্থিতি নির্বিশেষে বর্তমান। বিশেষত উন্নয়নশীল দেশগুলোতে দারিদ্রতা একটি বড় সমস্যা। এই সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রপুঞ্জ বিভিন্ন দেশকে দাতব্য সংস্থা ও ব্যক্তিদের প্রচেষ্টার স্বীকৃতি ও অবদানের বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছে।
দাতব্যের ফলে সমাজ নিরবিচ্ছিন্নভাবে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, আবাসন ও শিশু সুরক্ষায় জনসেবা সরবরাহ করতে পারে। এটি সংস্কৃতি, বিজ্ঞান, খেলাধুলা এবং প্রাকৃতিক ঐতিহ্য রক্ষায় সহায়তা করে। দান কার্যের ফলে সমাজের দরিদ্র এবং বঞ্চিত মানুষেরা নিজেদের অধিকার ফিরে পায় এবং মানবতার জয় হয়।
১৯৭৯ সালে নোবেল শান্তি পুরষ্কার প্রাপ্ত কলকাতার মাদার তেরেসার মৃত্যুবার্ষিকী স্মরণে ৫ সেপ্টেম্বর তারিখটি বেছে নেয়া হয় আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস হিসেবে। দরিদ্র এবং অসহায় মানুষদের সেবায় তিনি নিজের সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছিলেন।
১৯১০ সালে সন্ন্যাসিনী এবং ধর্মপ্রচারক মাদার তেরেসার ( যার আসল নাম অ্যান্জেন্জে গোন্সহে বোজাক্সিউ ) জন্ম হয়। ১৯২৯ সালে তিনি ভারতে চলে যান, যেখানে তিনি নিঃস্বদের সহায়তায় নিজেকে নিয়োজিত করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে তিনি ভারতীয় নাগরিকত্ব লাভ করেন এবং ১৯৫০ সালে কলকাতায় ' মিশনারিজ অফ চ্যারিটি ' - র প্রতিষ্ঠা করেন।
৪৫ বছরেরও বেশি সময় তিনি দরিদ্র, অসুস্থ, অনাথ মানুষদের সেবায় আত্মনিয়োগ করেছিলেন। মিশনারিস অফ চ্যারিটির প্রথমে ভারতে এবং পরে দরিদ্র ও গৃহহীনদের জন্য অন্যান্য দেশগুলোতেও কার্যালয় স্থাপন করেছিল। মাদার তেরেসার কাজ বিশ্বজুড়ে স্বীকৃত এবং প্রশংসিত হয়েছে। তিনি 'নোবেল শান্তি পুরস্কার' সহ বেশ কয়েকটি পুরস্কার পেয়েছেন।
১৯৯৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর ৮৭ বছর বয়সে মাদার তেরেসার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যু বার্ষিকী হিসেবে ৫ সেপ্টেম্বর দিনটিকে ' আন্তর্জাতিক দাতব্য দিবস ' হিসাবে মনোনীত করা হয়। ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে রাষ্ট্রপুঞ্জের গৃহীত প্রস্তাবনা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দারিদ্র্য নির্মূল করাই বর্তমান বিশ্বের সর্বাপেক্ষা বড় চ্যালেঞ্জ। এর জন্য প্রয়োজন মানুষের মধ্যে সংহতি এবং দান করার ইচ্ছে।
এই দিনটি সমগ্র বিশ্বেই যথেষ্ট মর্যাদার সহিত পালন করা হয়ে থাকে। এই দিনটি আন্তর্জাতিক ছুটি হিসেবে ঘোষিত হয়েছে। এই বিশেষ দিনটিতে সবারই উচিত নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী কিছু দান করা। এই দাতব্যের উপর নির্ভর করে বহু মানুষের জীবনযাপন। তাই ক্ষুদ্র অথবা বৃহৎ যে কোনো দানই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
এছাড়াও বিভিন্ন দাতব্য অনুষ্ঠানে যোগদান করা এবং স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে জনহিতকর কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা প্রভৃতির মাধ্যমে এই দিনটি পালন করা হয়।
- করোনায় আক্রান্ত হলেই আলো জ্বলবে মাস্কে
- শূন্য থেকে জনপ্রিয়, মা-মেয়ের সফল উদ্যোক্তা হওয়ার গল্প
- দীর্ঘতম জাতীয় পতাকা বানিয়ে গিনেস বুকে বাংলাদেশের ইমরান
- শহীদ শেখ জামাল : সেনাবাহিনীর গর্বিত সন্তান
- নম্বর প্লেটের কোন বর্ণের কী অর্থ?
- দুঃখিত ড. জাফরুল্লাহ, আপনার উদ্দেশ্য মহৎ নয়
- বিশ্বসেরা ধনী ব্যক্তিদের অর্ধাঙ্গিনীরাও নিজ কর্মগুণে প্রতিষ্ঠিত
- ‘কন্যা শিশু দিবস’এলো যেভাবে
- বিশ্বের সফল ব্যক্তিরা ঘুমানোর আগে যা করেন
- বাজেট ব্রিফকেস ও অসাধারণ কিছু তথ্য