সামিসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার আদেশ ২৩ ফেব্রুয়ারি

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৫:০৭ পিএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২১ রোববার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনাম হানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচারের অভিযোগে আল জাজিরার বিতর্কিত প্রতিবেদনের অন্যতম প্রধান চরিত্র সামিউল ওরফে জুলকার নাইন সায়ের খানসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলা গ্রহণের বিষয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম মো. আাশেক ইমামের আদালতে মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে আদেশের জন্য দিন ধার্য ছিল। তবে আদালত আদেশ না দিয়ে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নতুন দিন ধার্য করেন।

এর আগে গত বুধবার বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক আদালতে এ মামলার আবেদন করেন। একইদিন আদালত মামলার বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। তারপর আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণের বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার আদেশ দেবেন বলে জানান।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- নেত্র নিউজের সম্পাদক তাসনিম খলিল, ডেভিড বার্গম্যান ও আল জাজিরা টেলিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তফা স্যোঊয়াগ।

মামলার এজহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে একই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে সুনাম হানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার ও রাষ্ট্র বিরোধী কর্মকাণ্ড চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক অপরাধে লিপ্ত আছেন। তারা যৌথভাবে তাদের অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া মিথ্যা তথ্য সম্বলিত করে প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে ‘অল দি প্রাইম মিনিস্টার্স মেন’ নামে বাংলাদেশ রাষ্ট্র ও সরকার বিরোধী একটি প্রতিবেদন প্রচার করে। ওই প্রতিবেদন ইউটিউবেও ব্যাপকভাবে প্রচার করে, যা পরেরদিন বিভিন্ন মুদ্রিত ও অনলাইন পত্রিকাগুলোয় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়।

এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয়, ওই প্রতিবেদনটি কোনো সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য না দিয়ে এবং তথ্য উপাত্ত বা দলিল উপস্থাপন না করেই তৈরি করা হয়েছে। ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যে প্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠান ও সাক্ষাৎকারের ছবি ব্যবহার করে, কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও কল্পিত তথ্যচিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করে আল জাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে বিশ্বে অপপ্রচার করেছে। যা দেশে বিদেশে বাংলাদেশের সরকার ও রাষ্ট্রের সুনাম ও মর্যাদার হানি ঘটিয়েছে। এ কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে আসামিরা বাংলাদেশের দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে।

এমতাবস্থায় ন্যায় বিচার জন্য আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি পূর্বক প্রয়োজনে ইন্টারপোলের মাধ্যমে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তি বিধানের মর্জি হয়।