স্বাধীনতার সুফল ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে: প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:৫৩ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ মঙ্গলবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতাকে হত্যার পর যারা অবৈধভাবে ক্ষমতায় বসেছিল, তারা দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের কথা না ভেবে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তনে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল উলেস্নখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। এ স্বাধীনতাকে আমাদের অর্থবহ করতে হবে। এ স্বাধীনতার সুফল বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে হবে। এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা।
 
বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে সরাসরি যুক্ত হন তিনি।

দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপের সঞ্চালনায় সভায় দলের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক

ওবায়দুল কাদের, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মহিলাবিষয়ক সম্পাদক মেহের আফরোজ চুমকিসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ভাষা আন্দোলন শুধু ভাষার জন্যই ছিল না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির জন্য যা যা করে দিয়ে গেছেন, তা ধরে রাখতে হবে। আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি-ঐতিহ্য আছে। সেই সংস্কৃতি-ঐতিহ্য আমাদের ধরে রাখতে হবে।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, পাকিস্তানি শাসকরা আঘাত হেনেছিল আমাদের সংস্কৃতি-ভাষার ওপর। এর প্রতিবাদ শুরু করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, যখন তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র ছিলেন। যখন পাকিস্তানিরা সিদ্ধান্ত নেয়, উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়া হবে, তখনই তিনি প্রতিবাদ শুরু করেন।

তিনি আরও বলেন, শুধু প্রতিবাদই নয়, ভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠন করে অন্যান্য দলকে সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রাম শুরু করেছিলেন। আর সংগ্রাম করতে গিয়ে সেই পাকিস্তান আমলে একটি রাষ্ট্র হওয়ার বছরও পার করেনি তখন, তিনি বারবার কারাবরণ করেন।

১৯৭১ সালের ২১ ফেব্রম্নয়ারির প্রথম প্রহরে শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করার পর সেখানে দেওয়া বঙ্গবন্ধুর বক্তৃতা উদ্ধৃত করে শেখ হাসিনা বলেন, '১৯৫২ সালের আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। এ আন্দোলন ছিল সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন।' একথার মধ্য দিয়েই কিন্তু আমরা অন্তত এইটুকু শিক্ষা নিতে পারি যে, এ আন্দোলন শুধু ভাষা আন্দোলনই নয়। এ ভাষা আন্দোলন আমাদের সার্বিক বাঙালি জাতি হিসেবে অর্জনের আন্দোলন এবং তিনি সেটা আমাদের করে দিয়ে গেছেন। এটাকে ধরে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।

করোনাভাইরাস মহামারি থেকে দেশের মানুষের জীবন ও জীবিকা রক্ষা এবং দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ তুলে ধরে তিনি বলেন, 'করোনাভাইরাসে, আমি বলব, আপনারা সবাই টিকা নেবেন। কিন্তু টিকা নিলেও স্বাস্থ্য সুরক্ষা মেনে চলতে হবে। মাস্ক পরতে হবে, হাত ধুতে হবে। এটা কিন্তু মেনে চলতে হবে।'

তিনি আরও বলেন, অনেক দেশ টিকা সংগ্রহ করতে না পারলেও বাংলাদেশ সরকার আগাম ব্যবস্থা নেওয়ায় বাংলাদেশ টিকা পেয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে সবাইকে সুরক্ষিত থাকার ব্যবস্থাও রাখতে হবে, এটা এই কারণে যে এর কার্যকারিতা কতটুকু, তা গবেষণার পর্যায়েই আছে। তবুও অন্তত মানুষকে সুরক্ষা দিচ্ছে। নিজেকে আরও সুরক্ষিত করতে হবে, এ কারণে দ্বিতীয় ডোজও দিতে হবে।