তিনদিনের রিমান্ড শেষে হেফাজত নেতা ফয়সাল মাহমুদ কারাগারে

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৪৫ এএম, ৩ মে ২০২১ সোমবার

মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী

মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী

পল্টন থানার মামলায় হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবীর তিনদিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার ঢাকা মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারীর আদালত এই আদেশ দেন। 

এদিন রিমান্ড শেষে আসামি ফয়সাল মাহমুদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

এর আগে গত ২৯ এপ্রিল আসামি ফয়সাল মাহমুদকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামির দশ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগে

গত ২৮ এপ্রিল মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবীকে  ডেমরা এলাকা থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তাকে গ্রেফতার করে।

মুফতি ফয়সাল মাহমুদ হাবিবী হেফাজতে ইসলাম ঢাকা মহানগর (১০ নং জোন) কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তিনি ঢাকার ডেমরার মদিনা চত্তর সেন্ট্রাল জামে মসজিদের খতিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি ফরিদপুরের নগরকান্দা থানার বাবুর কাইচাইল গ্রামের গোলজার মিয়ার ছেলে।

এদিকে ২০১৩ সালের ৫ মে ঢাকা অবরোধ করে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীরা। এ অবরোধ কর্মসূচির নামে লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন ও আরামবাগসহ আশপাশের এলাকায় যানবাহন ও সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে হেফাজতের কর্মীরা। এ ঘটনায় পল্টন থানায় মামলা করা হয়। 

সম্প্রতি হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ বায়তুল মোকাররম মসজিদ, পল্টন, যাত্রাবাড়ীসহ বিভিন্ন স্থানে তাণ্ডব এবং ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। এরপর এ ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা হয়। মামলার তদন্তে পুলিশসহ সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা তদন্তে নামে।

তদন্তের অংশ হিসেবে সেদিনের ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, গ্রেফতারকৃতদের দেওয়া তথ্য, একই সঙ্গে ঘটনার ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করে জড়িতদের শনাক্ত করা হচ্ছে। পরে নিশ্চিত হওয়ার পরই সন্দেহভাজন আসামিদের গ্রেফতার করছে পুলিশ।