খাদ্য তৈরিতে আয়োডিনযুক্ত লবণ ব্যবহার না করলে জেল জরিমানার বিধান

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:২৬ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

মানুষের জন্য ভোজ্য ও প্রাণিখাদ্য প্রস্তুতে ব্যবহৃত লবণে আয়োডিন না থাকলে সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং ১৫ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রেখে একটি বিল পাস হয়েছে।

সোমবার (১৪ জুন) ‘আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১’ জাতীয় সংসদে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন উত্থাপন করলে কন্ঠ ভোটে পাস হয়। এর মধ্যে চারটি দাবির ওপর বিরোধী দল আনীত ছাঁটাই প্রস্তাবের ওপর সংশ্লিষ্ট সদস্যগণ বক্তব্য দেন। এই ছাঁটাই প্রস্তাবগুলো কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। পরে কন্ঠ ভোটে নির্দিষ্টকরণ বিলটি পাস হয়।

বিলে বলা হয়- লবণ আমদানি, উৎপাদন, গুদামজাত, ভোক্তা পর্যায়ে পাইকারি সরবরাহ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও পরিশোধন করতে চাইলে এই আইনের অধীনে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন না করলে ২ বছরের জেল এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। প্যাকেট বা লেবেলবিহীন ভোজ্য বা অভোজ্য লবণ বিক্রি করলে দুই বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। জাতীয় মান নির্ধারিত না হওয়া পর্যন্ত লবণ উৎপাদনে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ থেকে ৫০ পিপিএম এবং খুচরা পর্যায়ে ২০ থেকে ৫০ পিপিএম মাত্রার আয়োডিন থাকতে হবে।

বিলে আরো বলা হয়, একটি জাতীয় লবণ কমিটি থাকবে। এই কমিটি লবণের উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, পরিশোধন, আয়োডিনযুক্তকরণ, মজুদ, বিক্রি, পরিবহন, বাজারজাতকরণ, লবণ কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ, আমদানি নিয়ন্ত্রণ এবং ব্যবস্থাপনা নীতির বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়ন করবে। ১৪ সদস্যের কমিটিতে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব সভাপতি ও বিসিক চেয়ারম্যান সদস্য সচিব হবেন। এই কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে আয়োডিনযুক্ত লবণ পর্যবেক্ষণ ও বাস্তবায়ন সেল কার্যক্রমগুলো নজরদারি করবে।

সরকার জাতীয় লবণ কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী লবণ পরিশোধানাগার কারখানার জন্য আয়োডিন সরবরাহ নিশ্চিত করবে। লবণের উৎপাদন বৃদ্ধি এবং উৎপাদনে বিজ্ঞাপনভিত্তিক কৌশল প্রয়োগ, নিরাপদ উৎপাদন-পরিশোধন ও অন্যান্য বিষয়ে উৎপাদনকারী ও পরিশোধনকারীদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা উন্নয়নের ব্যবস্থা করবে বিসিক। সরকার প্রয়োজনে লবণ গবেষণা ইনস্টিটিউট করতে পারবে। লবণ প্রক্রিয়াজাতকরণে শিল্পাঞ্চল প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করা হবে ।   

আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১ পাস হওয়ায় ১৯৮৯ সালের আয়োডিন অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধ আইন রহিত হয়ে গেল।

এর আগে গত ২০ জানুয়ারি আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১ সংসদে উত্থাপন করেন শিল্পমন্ত্রী। পরে তা অধিকতর পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। সংসদীয় কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়।