গ্রন্থাগার সৃষ্টির মাধমে নেত্রকোণা হবে সাহিত্যসমৃদ্ধ জেলা

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০২:৪৩ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার | আপডেট: ০২:৪৪ পিএম, ১৪ জুন ২০২১ সোমবার

অনলাইন ছবি

অনলাইন ছবি

যুবসমাজকে ভার্চুয়াল আসক্তি থেকে ফিরিয়ে আনতে লাইব্রেরী মুখি করার বিকল্প নেই। যুবসমাজকে সাহিত্যমূখী করতে হবে। লোকসাহিত্যের উর্বরভূমি হিসেবে খ্যাত যেমনি ভাবে নেত্রকোণা, তেমনি বীরত্ব ও সংগ্রামের ইতিহাসও রয়েছে। এই যুবসমাজকে বই পড়ার নতুন আরেকটি সংগ্রামে সম্পৃক্ত করতে পারলেই আমাদের নেত্রকোণা হবে সাহিত্যসমৃদ্ধ জেলা। সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ গড়তে আমাদের গ্রন্থাগার সৃষ্টি ছাড়া বিকল্প নেই, বললেন সাবেক সচিব ও সরকারি কর্মকমিশন এর সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা উজ্জল বিকাশ দত্ত।

ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও লোকসাহিত্য গবেষণা একাডেমী আয়োজিত নেত্রকোণাস্থ অর্থনৈতিক ও মানবকি উন্নয়ন সংস্থা (অমাস) এর সাতপাই কার্যালয়ে গণমানুষকে পাঠাগার মূখিকরণ সংস্কৃতির বিকাশ, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত অসাম্প্রদায়ীক বাংলাদেশ গঠনে নেত্রকোণা জেলার ২৮টি পাঠাগারের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা লিমেরিক কবি মঞ্জুর উল হক এর সভাপতিত্বে বিশেষ অথিতি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দুয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা লোকগবেষক মোঃ নুরুল ইসলাম, নেত্রকোণা জেলা প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হায়দার জাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক এম. মুখলেছুর রহমান খান, এআরএফবির চেয়ারম্যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক দিলওয়ার খান, লেখক তাহমিনা সাত্তার, সাংবাদিক ও সংস্কৃতি গবেষক রাখাল বিশ্বাস, বিমল চন্দ্র পাল, অমল চন্দ্র সরকার, পাঠাগার আন্দোলনের নেত্রকোণা জেলা সাধারণ সম্পাদক মোঃ আজিজুর রহমান, আবুল বাশার প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে ২৮টি পাঠাগারের মধ্যে সমঝোতা স্মারক উপস্থাপন করেন অমাসের নির্বাহী পরিচালক ও ভাষাসৈনিক আবুল হোসেন কলেজ ও লোকসাহিত্য গবেষণা একাডেমীর প্রতিষ্ঠাতা ইকবাল হাসান তপু। ২৮টি পাঠাগারে প্রতিষ্ঠাতারা সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। পরে প্রত্যেকটি পাঠাগারে ৫০টি করে বই প্রদান করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, পাঠাগারগুলোকে সরকারিভাবে নিয়মিত অনুদান প্রদান করতে হবে। কমপক্ষে দু’জন গ্রন্থাগারসহকারি নিয়োগ দেয়ার ব্যাবস্থা করতে হবে। তখনই সকল পাঠাগারগুলো পাঠকমূখী এবং নতুন নতুন পাঠাগার প্রতিষ্ঠার আগ্রহ বাড়বে। গ্রন্থাগার একটি চ্যলেঞ্জের মধ্যে পড়েছে। নতুন প্রজন্মকে মানবিক, উদারপন্থী না করতে পারলে আলোকিত সমাজ গঠন সম্ভব হবেনা। মনুষত্ববোধসম্পন্ন মানুষ না হলে আমাদের সমাজব্যাবস্থা অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। এখনই সময় গ্রন্থগার আন্দোলনের মাধ্যমে যুবসমাজে গ্রন্থাগারমূখী করার।