1. প্রচ্ছদ
2. আইন-আদালত

ফাইল ছবি

নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন নব্য জেএমবির আঞ্চলিক সামরিক কমান্ডারসহ তিনজনকে চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদ-উর-রহমান কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের বোম ডিসপোজাল ইউনিটের এসআই (নিরস্ত্র) গোলাম মর্তুজা  রিমান্ড শেষে আসামিদের আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

কারাগারে যাওয়া আসামিরা হলেন নব্য জেএমবির ময়মনসিংহ অঞ্চলের সামরিক কমান্ডার সাব্বির হোসেন ওরফে বামছি ব্যারেক ওরফে মেজর বামছি ওরফে আবু হাফস আল বাঙ্গালি ওরফে খালেদ ওরফে জন ডেভিড, তার সহযোগী রবিউল ইসলাম ওরফে ওসমান এবং নাঈম মিয়া।

এর আগে গত ৮ জুলাই আদালত তাদের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এরও আগে গত ৭ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর পল্লবীর শহিদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামের পাশের নির্মাণাধীন ভবনের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিস্ফোরকজাতীয় গুঁড়া পদার্থ, বিস্ফোরক ও বোমা তৈরির নথিপত্র উদ্ধার করা হয়। 

উল্লেখ্য, রিমান্ডে সাব্বির আহম্মেদের তথ্যের ভিত্তিতে গত ১১ জুলাই বেলা দেড়টার দিকে ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ থানার রুহিতপুর এলাকা থেকে কাউছার মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার তথ্যের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহ আল মামুনকে যাত্রাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এই দুজনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই নারায়নগঞ্জের জঙ্গি আস্তানার খবর পায় পুলিশ। কাউছার মিয়া নারায়নগঞ্জ জেলার বন্দর থানার কাজীপাড়া এলাকায় তাদের সংগঠনের একটি আস্তানার কথা এবং আব্দুল্লাহ আল মামুন নারায়নগঞ্জ জেলার আড়াই হাজারের নোয়াগাঁও গ্রামের মিয়াছাবের বাড়ির মসজিদের পাশে তার থাকার ঘরে তিনটি শক্তিশালী আইইডি এবং বিপুল পরিমান বোমা তৈরির সরঞ্জাম রয়েছে। পরে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। গত সোমবার  কাউছার মিয়া এবং আব্দুল্লাহ আল মামুনের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।