আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে সিপিপির চারটি ইউনিট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:০৬ এএম, ১৩ অক্টোবর ২০২১ বুধবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস বুধবার (১৩ অক্টোবর)। একই সঙ্গে এদিন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচির (সিপিপি) ৫০ বছর পদার্পণ উদযাপনের আয়োজন করা হয়েছে।

জাতিসংঘের দুর্যোগ প্রশমন কার্যালয় (ইউএনডিআরআর) এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্বাচন করেছে ‘দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে, কাজ করি একসাথে’। আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবসে এ বছর জাতীয়ভাবে প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘মুজিববর্ষের প্রতিশ্রুতি, জোরদার করি দুর্যোগ প্রস্তুতি।’

দিবসের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সিপিপির চারটি ইউনিট উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত সিপিপির ৫০ বছর পূর্তি এবং আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উদযাপন উপলক্ষে বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান। স্বাগত বক্তব্য দেবেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোহসীন।

অনুষ্ঠানে ‘দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ৫০ বছর: বঙ্গবন্ধু থেকে শেখ হাসিনা’ শীর্ষক প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হবে। সিপিপির ৫০ বছর উপলক্ষে স্বেচ্ছাসেবক সংগঠক ও স্বেচ্ছাসেবককে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হবে। সিপিপি স্বেচ্ছাসেবকদের মহড়াও দেখানো হবে।

প্রধানমন্ত্রী সিপিপির দ্রুত সাড়াদান ইউনিট, পানি থেকে উদ্ধার ইউনিট, অতি জোয়ার মনিটরিং ও সাড়াদান ইউনিট ও খেলায় খেলায় দুর্যোগ প্রস্তুতির উদ্বোধন করবেন।

আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে দুর্যোগ সহনীয় টেকসই নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় পরিকল্পিতভাবে কাঠামোগত ও অকাঠামোগত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে।

এদিকে, আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব আজ বিশ্বব্যাপী পরিলক্ষিত হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানগত কারণেও বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ অঞ্চল হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে পৌনঃপুনিক প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, পাহাড়ি ঢল, টর্নেডো, সামুদ্রিক জলোচ্ছ্বাস, বজ্রপাতের ঘটনা ঘটে থাকে।

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস সংক্রমণজনিত বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় ত্রাণসহায়তার পাশাপাশি খাতভিত্তিক প্রণোদনা প্রদানের মাধ্যমে জনগণের জীবন ও জীবিকার সুরক্ষা প্রদানে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।’

‘সরকারের গৃহীত পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ এখন দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম দেশ হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি লাভ করেছে। জাতির অগ্রযাত্রার স্বপ্ন ও আকাঙ্ক্ষা বাস্তবরূপ দিতে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস এবং ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত দেশ গড়তে সবাইকে নিরন্তর প্রয়াস চালিয়ে যেতে হবে। দুর্যোগকালীন ক্ষয়ক্ষতি প্রশমনে সব সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, গণমাধ্যম ও জনগণের সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে—এ প্রত্যাশা করি’ বাণীতে বলেন রাষ্ট্রপতি।

পৃথক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ঝুঁকিহ্রাসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বর্তমানে বিশ্বে রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের নানাবিধ কার্যক্রম ও কর্মসূচিতে অনুপ্রাণিত বাংলাদেশের মানুষ যেকোনো দুর্যোগে নিজেদের জীবন ও সম্পদ সুরক্ষায় সচেষ্ট এবং প্রস্তুত থাকার মনোবল অর্জন করেছে।’