নানা অপকর্মের কারণে নিজ দলে বিতর্কিত তারেক

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:২৬ এএম, ২২ অক্টোবর ২০২১ শুক্রবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

প্রায় ১৪ বছর ধরে লন্ডনে পালিয়ে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপার্সন তারেক রহমানের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়েছে।বিতর্কিত নানা কর্মকাণ্ডে প্রশ্ন উঠেছে, রাজনৈতিকভাবে তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ কী?

২০০১ সালের নির্বাচনের পর তারেক রহমানের উত্থান ঘটে। এরপর তিনি খালেদা জিয়ার বিকল্প প্যারালাল একটি রাজনৈতিক পরিকাঠামো বিএনপিতে গঠন করেন। তার নিজস্ব পছন্দের লোকজনকে তিনি মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। হাওয়া ভবনের মাধ্যমে তিনি সরকার এবং রাজনীতিকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।

২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ওয়ান-ইলেভেন আসার পর প্রথমে তার বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুন এবং পরে তারেক রহমান গ্রেফতার হন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, দুর্নীতিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত তারেক রাজত্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত দলটির নাম হলো বিএনপি।

এই সময় বিএনপি জঙ্গিবাদের সঙ্গে জড়িত হয়ে পড়ে বলে অভিযোগ রয়েছে। বিশেষ করে ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সরাসরি তারেককে অভিযুক্ত করা হয়। এছাড়া আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী চক্রের সঙ্গে তারেক রহমানের সম্পর্ক রয়েছে বলে একাধিক তদন্ত রিপোর্টে জানানো হয়েছে। এরকম বাস্তবতায় তারেক রহমান লন্ডন থেকে বিএনপিকে নিয়ন্ত্রণ করায় সবচেয়ে বড় প্রশ্ন যেটি উঠেছে তা হলো, আসলে তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী?

এক সময় তারেক রহমান ছিলেন দলের মধ্যে একচ্ছত্র নেতা। দলের বাইরেও তাকে পরবর্তী জেনারেশনের প্রতিনিধি মনে করা হতো। কিন্তু ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল সময়ে তারেক রহমানের দলের মধ্যে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ ও জনপ্রিয়তা থাকলেও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এবং দলের বাইরের সাধারণ মানুষের কাছে তাকে দুর্নীতিবাজ, জঙ্গিবাদও সন্ত্রাসবাদের পৃষ্ঠপোষক মনে করা হতো। আর ২০২১ সালে এসে তারেক রহমান নিজের দলে সবচেয়ে বিতর্কিত ব্যক্তিত্বে পরিণত হয়েছেন।

বিএনপি নেতারা প্রকাশ্যে না বললেও গোপনে তারা স্বীকার করেন, তারেক রহমান যতদিন বিএনপিতে থাকবেন ততদিন বিএনপির কোনো ভবিষ্যৎ নেই। তিনি একাধিক মামলায় দণ্ডিত। কাজেই সহসা তার দেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই। দেশে ফিরলেও তিনি কিছু করতে পারবেন এমন সম্ভাবনাও খুব একটা নেই।

কারাগারের ভয়ে বিদেশে পালিয়ে থাকা, নিজের মায়ের অসুস্থতার কথা শুনে খবর না নেয়া এবং রাজনৈতিক দলকে জিম্মি করে চাঁদাবাজি, টাকা আদায় ইত্যাদি ঘটনা দলের মধ্যেও তারেক রহমানের ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। তাই তারেক রহমান এখন দলে, দলের বাইরে, আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অগ্রহণযোগ্য একটি নাম। এই বাস্তবতায় শেষ পর্যন্ত তারেক রহমানের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ অন্ধকারাচ্ছন্ন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।