পূজামণ্ডপে হামলা-ভাংচুরের নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় নুর

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:২৩ এএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

নুরুল হক নুরু

নুরুল হক নুরু

চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে পূজামণ্ডপে ভাংচুর, ব্যানার-পোস্টার ছেঁড়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ১০জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরুর রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ চট্টগ্রাম শাখার ৯ নেতাকর্মী রয়েছে।

এই নেতাদের ছাড়াতে ইতোমধ্যে তোড়জোড় শুরু করেছেন বিএনপি-জামায়াতের মদদপুষ্ট ছাত্রনেতা নুর। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার বরাতে জানা যায়, নুরের দলের এসব নেতাকর্মীর নেতৃত্বে ও পরিকল্পনায় চট্টগ্রাম নগরীর জেএম সেন হলে পূজামণ্ডপে হামলা চালানো হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপূজার সময় পূজামণ্ডপে হামলায় সরাসরি জড়িত কর্মীদের ছাড়াতে নুর বহুমুখী তৎপরতা শুরু করেছেন।

সংগঠনের নেতাদের গ্রেফতারের পর নুর ফোন করেন চট্টগ্রাম পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) বিজয় বসাক এবং কোতোয়ালি থানার ওসি নেজাম উদ্দীনকে। তারা সিসি টিভি ফুটেজ দেখে সবাইকে গ্রেফতারের কথা জানালেও কর্মীদেরকে ছেড়ে দিতে ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন নুর।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নুরের প্ররোচনায় বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা জেএম সেন হলের পূজামণ্ডপে হামলা চালায়। তাদের কিছুই হবে না- মর্মে নুর তাদের হামলায় অংশ নিতে বলেন। এমনকি বলেন- যদি কারো কিছু হয় তাহলে বিষয়টি নুর নিজে দেখবেন। এ জন্যই সাবেক ভিপি নুর আটককৃত নেতাকর্মীদের ছাড়াতে ক্রমাগত চাপ দিচ্ছেন পুলিশ কর্মকর্তাদের।

এদিকে বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পরই কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পরিকল্পনায় জামায়াত শিবিরের সাথে নুরের জড়িত থাকার সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিশিষ্ট নাগরিকরা। তারা নুরের সম্পৃক্ততা নিয়ে বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।