জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তির উপায়

ধর্ম ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০১:০০ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

আল্লাহর অবাধ্য ব্যক্তিদের চিরস্থায়ী বাসস্থান হচ্ছে জাহান্নাম। এটি মূলত আগুনে ভরপুর একটি জায়গা। যারা আল্লাহর অবাধ্যতায় লিপ্ত হবে; তাদের শেষ পরিণতি এটি। এ জন্য ঈমানদারদের সতর্ক করতে মহান আল্লাহ কোরআনুল কারিমে ঘোষণা করেন-
یٰۤاَیُّهَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا قُوۡۤا اَنۡفُسَکُمۡ وَ اَهۡلِیۡکُمۡ نَارًا وَّ قُوۡدُهَا النَّاسُ وَ الۡحِجَارَۃُ عَلَیۡهَا مَلٰٓئِکَۃٌ غِلَاظٌ شِدَادٌ لَّا یَعۡصُوۡنَ اللّٰهَ مَاۤ اَمَرَهُمۡ وَ یَفۡعَلُوۡنَ مَا یُؤۡمَرُوۡنَ
হে ঈমানদারগণ! তোমরা নিজেদেরকে এবং তোমাদের পরিবার-পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে রক্ষা কর। যার (জাহান্নামের) ইন্ধন (জ্বালানি) হবে মানুষ ও পাথর। যাতে নিয়োজিত আছে নির্মম-হৃদয়, কঠোর-স্বভাবের ফেরেশতারা। যারা আল্লাহ যা তাদেরকে আদেশ করেন, তা অমান্য করে না এবং তারা যা করতে আদিষ্ট হয়, তাই করে।’ (সুরা তাহরিম : আয়াত ৬)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসব ঈমানদারদের লক্ষ্য করে বলেছেন যে, সহজ দুইটি উপায় আছে; যা পালনে জাহান্নামের আগুণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সেই উপায় দুইটি কী?

উল্লেখিত আয়াতে প্রত্যেককে নিজেদের ব্যাপারে এব নিজেদের পরিবারের ব্যাপারে জাহান্নামের আগুন থেকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। হাদিসে পাকে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মানুষকে সহজ দুইটি আমলের কথা বলেছেন যা মেনে চললেই জাহান্নামের আগুন থেকে নিজেদের রক্ষা করা সহজ হবে। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আদি ইবনে হাতিম রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, ‘তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ। এরপর তিনি পিঠ ফিরালেন এবং মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। আবার বললেন, তোমরা জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ। এরপর তিনি পিঠ ফিরালেন এবং মুখ ঘুরিয়ে নিলেন। তিনবার এরূপ করলেন। এমন কি আমরা ভাবছিলাম যে তিনি বুঝি জাহান্নাম সরাসরি দেখছেন। তিনি আবার বললেন, তোমরা এক টুকরা খেজুর দিয়ে হলেও জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচ। আর যদি কেউ সেটাও না পাও তাহলে উত্তম কথার দ্বারা হলেও (আগুন থেকে নিজেকে রক্ষা কর)।’ (বুখারি)

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু এ হাদিসে এক টুকরো খেজুর অথবা ভালো ব্যবহারের বিনিময়ে জাহান্নামের আগুন থেকে বেঁচে থাকার দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। যারা একান্ত নিরূপায় তাদের উচিত, দান কম হলেও তা অব্যাহত রাখা। আর তাতেও অপরাগ হলে পরস্পরের সঙ্গে সুন্দর ও উত্তম আচরণ করা। যার মাধ্যমে মুমিন্ মুসলমান জাহান্নামের ভয়াবহ আগুণ থেকে পাবে মুক্তি।

সুতরাং মুমিন মুসলমানের উচিত, জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি পেতে পরিমাণে কম হলে দান করা এবং পরস্পরের সঙ্গে উত্তম আচরণ করা। জাহান্নামের আগুন থেকে নিজে বাঁচা এবং অপরকেও বাঁচানোর চেষ্টা করা।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে কোরআন-সুন্নাহর উপর যথাযথ আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।