দেশে ফ্রান্সের প্রযুক্তিতে এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৮:১৪ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এয়ার ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়নে দেশের আকাশসীমা নিয়ন্ত্রণে অত্যাধুনিক রাডার কিনতে ফ্রান্সের থ্যালেস টেকনোলজির সঙ্গে চুক্তি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)। 

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কমিউনিকেশন, নেভিগেশন ও সার্ভেইল্যান্স (সিএনএস/এটিএম) সিস্টেমসহ আধুনিক রাডার স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও ফ্রান্সের রাডার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান থ্যালেস গ্রুপের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষর হয়েছে। 

এই চুক্তির আওতায় শুধু রাডার নয়, চুক্তির আওতায় এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট আধুনিকায়নে ৯টি সিস্টেম যুক্ত হবে; ১৮ মাসে রাডার, ৩২ মাসের মধ্যয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের পুরো কাজ সম্পন্ন করবে থ্যালেস। আধুনিক এটিসি টাওয়ারও নির্মাণ করা হবে।

বেবিচকের পক্ষে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান এবং থ্যালেসের পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির ভাইস চেয়ারম্যান নিকোলাস ব্যভেরু। 

চুক্তি প্রসঙ্গে বেবিচক চেয়ারম্যান বলেন, 'শুধু রাডার নয়, সম্পূর্ণ এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্ট বদলে যাবে। প্রকল্পের আওতায় রাডার, এটিসি টাওয়ার,  কমিনিউকেশন, নেভিগেশন, সারভেইল্যান্সের জন্য আধুনিক এয়ার ট্রাফিক ম্যানেজমেন্টের যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে। এর সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের প্রশিক্ষণও দেওয়া হবে।' 

জানা গেছে, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বর্তমান রাডারের  কার্যক্ষমতা কমেছে। ফলে আমাদের আকাশসীমায় উড়ে যাওয়া উড়োজাহাজগুলো শনাক্ত করতে না পারায় কোনও চার্জ আদায় করতে পারছে না বেবিচক।

একইভাবে ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে পাইলটদের কমিনিউকেশন, রানওয়ের নেভিগেশন ব্যবস্থা পুরাতন হওয়ায় প্রায়ই ত্রুটি দেখা দেয়। ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজ করতে হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের। কম জনবলে ম্যানুয়াল পদ্ধতিতে কাজ করতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত চাপে থাকতে হয় এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলারদের।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টার্মিনাল ভবনের উত্তরে এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল টাওয়ারের উচ্চতা কম হওয়ায় টাওয়ার থেকে পুরো বিমানবন্দর দেখতে পারেন না কন্ট্রোলাররা।

জানা গেছে, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পিপিপির  (সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব) মাধ্যমে রাডার ক্রয়ের উদ্যোগ নিয়েছিল বেবিচক। কিন্তু প্রকল্পেটির আর্থিক প্রস্তাব ব্যয়বহুল ও অতিরঞ্জিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেটি বাতিল করে দেয়া হয়। পরে ফ্রান্স ও বাংলাদেশ সরকারের মধ্যে সরাসরি (জিটুজি) ক্রয়চুক্তির আওতায় রাডার কেনা হচ্ছে।