খালেদার চিকিৎসার নামে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করছে বিএনপি-জামায়াত

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৪:১৭ পিএম, ৫ ডিসেম্বর ২০২১ রোববার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতির গৌরব। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষায় দিনরাত কাজ করে চলেছেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা। ১৯৭১ সালের মহান স্বাধীনতা সংগ্রাম থেক শুরু করে দেশের প্রতিটি দুর্যোগে তারা সামনের সাড়িতে দাঁড়িয়ে জনগণকে রক্ষা করেছে। দেশপ্রেমিক এই বাহিনীকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে স্বাধীনতাবিরোধী বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীরা। গণতান্ত্রিক সরকারের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ব্যবহারের উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে। দেশের উন্নয়ন, অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করতে স্বাধীনতাবিরোধী এই অপশক্তিকে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন বিশিষ্টজনরা।

জানা গেছে, দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার নামে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি করতে রাজপথে নেমে বিশৃঙ্খলা করছে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা। প্রতিদিনই সভা-সমাবেশের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করছে দলটির সন্ত্রাসী কর্মীরা। কোথাও কোথাও পুলিশের ওপরও হামলা করছে এই অপশক্তি। সেইসাথে স্বাধীনতা বিরোধী এই অপশক্তির দেশ-বিদেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা কর্মীরা অনলাইন মাধ্যমে নিয়মিত অপপ্রচার করছে। বিভিন্ন উসকানিমূলক লেখা, ছবি প্রচার করছে। এরই অংশ হিসেবে সেনাবাহিনীকেও নোংরা রাজনীতিতে জড়ানোর অপচেষ্টা করছে বিএনপি-জামায়াতের কর্মীরা।

সূত্র জানায়, রাজপথে ব্যর্থ হয়ে গত এক দশক ধরে দেশ বিদেশে ষড়যন্ত্র করে চলেছে বিএনপি-জামায়াত। লন্ডন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক আসামি তারেক রহমান এসব কর্মকাণ্ডের নেতৃত্ব দেন। তার পালিত কর্মীরা খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে সেনাবাহিনীকে হস্তক্ষেপের উসকানি দিচ্ছে।

বিএনপি-জামায়াতের এসব উসকানিমূলক অপপ্রচার সম্পর্কে জানতে চাইলে বীর মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে বাংলাদেশের ভূখণ্ডের অখণ্ডতা রক্ষাসহ সব ধরনের নিরাপত্তা ও প্রতিরক্ষা সহায়তায় প্রয়োজনীয় শক্তি ও জনবল সরবরাহ করা। প্রাথমিক দায়িত্বের পাশাপাশি যে কোনো জাতীয় জরুরি অবস্থায় বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তায় এগিয়ে আসতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সাংবিধানিক ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তারা রাজনৈতিক সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োজিত। এই দেশপ্রেমিক বাহিনীকে নোংরা রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহারের চেষ্টার নিন্দা জানানোর ভাষা জানা নাই আমার।

নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল (অব.) আবদুর রশীদ বলেন, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের সংবিধান মেনে কাজ করে। সংবিধান অনুযায়ী তাদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে থাকে। সেনাবাহিনীকে জড়িয়ে যারা অপপ্রচার, উসকানি দিচ্ছেন তারা দেশের উন্নয়নবিরোধী শক্তি। দেশে একটা অরাজকতা সৃষ্টি করাই তাদের উদ্দেশ্য। আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী এসব নোংরামিতে কোনভাবেই যুক্ত হবে না। সুতরাং এসব উসকানি যারা দেয় তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।