কুড়িয়ে পাওয়া টাকা নিয়ে ইসলাম কি বলে?

ধর্ম ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৩:১২ পিএম, ২৭ জানুয়ারি ২০২২ বৃহস্পতিবার

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

এই পৃথিবীতে এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কষ্টকর, যার টাকা পয়সার প্রয়োজন নেই বা তিনি প্রচুর প্রচুর অর্থের মালিক হতে চান না। আমরা সবাই জানি অর্থ ছাড়া এক মুহূর্ত চলা প্রায় অসম্ভব। অর্থই মানুষের মনোবলের অন্যতম কারক। তাই প্রায় সবাই চান কোনো না কোনো উপায়ে অর্থ উপার্জন করতে।

রাস্তাঘাটে টাকা পয়সা কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা আমাদের মধ্যে অনেকের ক্ষেত্রেই ঘটে থাকে। এই বিষয়টা নিয়ে নানা মানুষ নানা মত প্রকাশ করেন। অনেকে সেই কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মসজিদে দান করে দেন, আবার অনেকে কোনো গরিব দুঃখীকে দান করেন। তবে কুড়িয়ে পাওয়া এসব টাকা-পয়সা বা ধন-সম্পদ কি মসজিদে দান করা যাবে? নাকি অন্য কোথাও দান করতে হবে? এ সম্পর্কে ইসলাম কী বলে?

ইসলাম ধর্ম মতে, যদি টাকার পরিমাণ এতো কম হয় যে মালিক তা অনুসন্ধান করবে না, তবে কোনো ফকিরকে তা সদকা করে দেবে। আর যদি অনেক টাকা বা মূল্যবান কোনো বস্তু পাওয়া যায় এবং মালিক এর খোঁজে থাকবে বলে মনে হয়, তাহলে ওই স্থান ও আশপাশ এবং নিকটবর্তী জনসমাগমের স্থানে (যথা মসজিদের সামনে, বাজারে, স্টেশনে ইত্যাদিতে) প্রাপ্তির ঘোষণা দিতে থাকবে এবং প্রকৃত মালিক পেলে তার কাছে হস্তান্তর করে দেবে।

তবে এর পরও যদি মালিক না পাওয়া যায়, মালিকের সন্ধান পাওয়া যাবে না বলে প্রবল ধারণা হয় তাহলে তা কোনো গরিব-মিসকিনকে সদকা করে দেবে। প্রাপক দরিদ্র হলে সে নিজেও তা রেখে দিতে পারবে। আর কুড়িয়ে পাওয়া টাকা মসজিদে দেওয়া যাবে না। কারণ ইসলামে ব্যাক্তি মসজিদে শুধু মাত্র হালাল টাকা দান করতে পারবে। (সূত্র : ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ২/২৮৯; আদ্দুররুল মুখতার: ৪/২৭৮; ফাতহুল কাদির: ২/২০৮; আলমুহিতুল বোরহানি: ৮/১৭১)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, 'তোমাদের কেউ যখন কোনো কুড়িয়ে পাওয়া বস্তু কুড়িয়ে নেয় সে যেন তার ওপর দুইজন ন্যায়পরায়ণ সাক্ষী রাখে, তারপর সে যেন তা গোপন না করে, পরিবর্তন-পরিবর্ধন না করে, তারপর যদি তার মালিক আসে, তবে সে সেটার অধিকারী, আর যদি না আসে, তবে সেটা আল্লাহর সম্পদ, তিনি যাকে ইচ্ছে তা দান করেন।' (ইবনে হিব্বান : ৪৮৯৪)