ভারত-বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠক ফেব্রুয়ারিতে

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:০৫ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

ফেব্রুয়ারিতে ভারত-বাংলাদেশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের যৌথ পরামর্শমূলক কমিশনের সপ্তম বৈঠক হতে চলেছে। ষষ্ঠ বৈঠক হয় ২০২০ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর। বৈঠকটি ঢাকায় হওয়ার কথা ছিল। করোনা মহামারির কারণে ভার্চুয়াল হয়।

ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর গত বৃহস্পতিবার থেকে করোনায় ভুগছেন। তিনি নিজেই টুইট করেন, ‘আমি করোনায় আক্রান্ত। আমার সঙ্গে সম্প্রতি যাঁরা সংস্পর্শে এসেছেন তাঁরা সাবধানতামূলক ব্যবস্থা নেবেন।’

ভারতে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি এই দ্বিপক্ষীয় বৈঠকটি প্রত্যক্ষ নাকি ভার্চুয়ালি হবে। ভারতের পরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘জয়শংকর গত ৬ জানুয়ারি টেলিফোনে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার সময়ে তাঁকে যৌথ পরামর্শমূলক বৈঠকের জন্য আমন্ত্রণ জানান। বৈঠক দুই পক্ষের সুবিধাজনক সময় দেখেই স্থির করা হবে। এখনো সেই তারিখ স্থির হয়নি।’ সরকারি সূত্র জানায়, বৈঠকটি ফেব্র“য়ারি মাসের মধ্যে করার চেষ্টা চলছে। ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠককে ‘যৌথ পরামর্শমূলক কমিশন’ বলা হয়। বৈঠকে দুই দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের যাবতীয় বিষয় পর্যালোচনা করে নতুন পদক্ষেপ ঘোষণা করা হয়ে থাকে।

সপ্তম বৈঠকে উভয় দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের অমীমাংসিত বিষয়গুলো সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে। কভিড ভ্যাকসিন বাংলাদেশে যৌথভাবে উৎপাদনের প্রস্তাব ভারতের পক্ষ থেকে দেওয়া হবে। অন্যদিকে তিস্তা নদীর পানি চুক্তির অমীমাংসিত বিষয় যেমন বাংলাদেশ তুলতে পারে, তেমনি এবার গুরুত্ব পাবে সীমান্তে নাগরিক হত্যার বিষয়টি। সূত্র জানায়, বৈঠকে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ শেষ করার সঙ্গে সঙ্গে সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোয় সামাজিক উন্নয়নমূলক প্রকল্প নেওয়া, যাতে সীমান্তবর্তী মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হন এবং অপরাধমূলক কাজ রোখা যায়। বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ায় মুক্ত বাণিজ্য ধাঁচে এক সুসংহত বাণিজ্যিক চুক্তির রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হবে। উভয় দেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে টাস্ক ফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত হতে পারে। যৌথ নদী কমিশনের বৈঠক চূড়ান্ত করা নিয়ে আলোচনা হবে, যাতে ভারতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি সফরের আগে বিষয়গুলোর নিষ্পত্তি হয়। সাংস্কৃতিক বন্ধন দৃঢ় করার লক্ষ্যে উভয় দেশ মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট চালু করতে পারে, যেখানে মুক্তিযুদ্ধ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য থাকবে।