বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নীতকরণে জোর মালয়েশিয়ার

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১২:৪২ পিএম, ২৯ জানুয়ারি ২০২২ শনিবার

সংগৃহীত

সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার সম্পর্ককে ‘কৌশলগত পর্যায়ে’ উন্নীত করার ওপর জোর দিয়েছেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ। দুই দেশের মধ্যে ডিজিটাল অর্থনীতির ক্ষেত্রে সহযোগিতা সম্প্রসারণের আশ্বাসও দেন তিনি।

বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে টেলিফোন করলে এসব কথা বলেন সাইফুদ্দিন আবদুল্লাহ। এ সময় দুই দেশের মধ্যকার পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে মতবিনিময় করেন তারা।

চলতি বছর বাংলাদেশ ও মালয়েশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান ড. মোমেন এবং দু’দেশের বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।

দু’দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানটি যথাযথভাবে উদযাপন করতে সম্মত হন।

মালয়েশিয়ার সব খাতে বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগদানের সুযোগ উন্মুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এছাড়া ৫ লাখের বেশি করোনার টিকা অনুদান হিসেবে দেওয়ার জন্য তিনি মালয়েশিয়া সরকারকে ধন্যবাদ জানান।

নিরাপদ ও নিয়মিত অভিবাসন চ্যানেলের মাধ্যমে আরো বেশি কর্মী পাঠানোর মাধ্যমে মালয়েশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও কর্মকাণ্ডে অবদান রাখতে বাংলাদেশ সরকারের প্রস্তুতির কথা জানান তিনি। বাংলাদেশ থেকে তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষ জনশক্তি নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করার অনুরোধও করেন ড. মোমেন।

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় সব ক্ষেত্রে মালয়েশিয়ার সহায়ক ভূমিকার প্রশংসা করে ড. মোমেন। বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গাদের তাদের মাতৃভূমি মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসন শুরু করার জন্য মালয়েশিয়ার অব্যাহত সমর্থনের অনুরোধ জানান তিনি।

মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের প্রশংসা করে সাইফুদ্দিন বলেন, মিয়ানমার থেকে ১১ লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশাল মানবিক পদক্ষেপের জন্য পুরো বিশ্ব কৃতজ্ঞ।

উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে আরো ব্যবসা-বাণিজ্যের সুবিধার্থে প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দ্রুত সম্পন্নের ওপর জোর দেন।

আসিয়ান সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনারশিপসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশের প্রার্থীতার পক্ষে মালয়েশিয়ার সমর্থন চান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরো গতিশীল করতে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ে কাজ করতেও সম্মত হয়েছেন।

ড. মোমেন কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে সাইফুদ্দিনকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে তিনি পরবর্তীতে পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরে সম্মত হন।