খাকদোন নদীর সীমানা জরিপ করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ হাইকোর্টের

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২২ রোববার

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বরগুনা জেলা সদরে কাঠপট্টি এলাকায় খাকদোন নদীর সিএস/আরএস অনুসারে সীমানা জরিপ করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

৬ সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে এ নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে।

জনস্বার্থে দায়ের করা রিটের প্রাথমিক শুনানির পর রোববার (৩০ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটিভরাট, দখল, নির্মাণ নিয়ে সংবাদপত্রে প্রতিবেদন প্রকাশিত হলে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) রিট করেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সমরেন্দ্র নাথ বিশ্বাস।

রুলে জেলা শহরের কাঠপট্রি এলোকায় খাকদোন নদী দখল করে অবৈধভাবে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ বন্ধে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন বে-আইনি ঘোষণা করা হবে না এবং নদী দখল করে মাটি ভরাট, দখল, নির্মাণ অপসারণ করার কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না তা জানতে চেয়েছেন।

৪ সপ্তাহের মধ্যে এলজিআরডি ও পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, জেলা প্রশাসক ও এসপিসহ সংশ্লিষ্ট ১২ জনকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ বলেন, আদালত রুল জারির পাশাপাশি অন্তবর্তীকালীন আদেশ দিয়েছেন। আদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে এইচআরপিবির দাখিল করা আবেদন ২ সপ্তাহের মধ্যে নিস্পত্তি করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং যদি প্রমাণ পাওয়া যায় যে, অবৈধ স্থাপনা রয়েছে তাহলে ২ সপ্তাহের মধ্যে আইন অনুসারে ব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসকসহ বিবাদীদের আদালতে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া ৬ সপ্তাহের মধ্যে বরগুনার জেলা প্রশাসক ও সদর থানার ইউএনও এবং এসি ল্যান্ডকে সিএস/আরএস অনুসারে খাকদোন  নদীর সীমান জরিপ করে প্রতিবেদন আদালতে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।