ইতিহাস গড়ে একই ম্যাচে আম্পায়ার স্বামী-স্ত্রী

স্পোর্টস ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:৩১ এএম, ৩ জুলাই ২০২২ রোববার

নাঈম আশরাফ ও তার সহধর্মিণী জাসমিন নাঈম

নাঈম আশরাফ ও তার সহধর্মিণী জাসমিন নাঈম

ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে সৃষ্টি হতে যাচ্ছে নতুন ইতিহাস। একই ম্যাচে আম্পায়ারিং করতে যাচ্ছেন স্বামী-স্ত্রী। এ দুই আম্পায়ার হলেন নাঈম আশরাফ ও তার সহধর্মিণী জাসমিন নাঈম। 

গতকাল শনিবার রেচেল হেহো ফ্লিন্ট ট্রফিতে লাইটনিং এবং ওয়েস্টার্ন স্টর্মের ম্যাচ পরিচালনা করবেন এ দম্পতি। ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) স্বীকৃত ম্যাচে এই প্রথম কোনো দম্পতিকে এক সঙ্গে আম্পায়ারিং করতে দেখা যাবে। 

ইংল্যান্ডের লাফবরোতে খেলা নিয়ে যত না উৎসাহ তৈরি হয়েছে, তার থেকে অনেক বেশি আগ্রহ আম্পায়ারিং নিয়ে। বাবা-মায়ের একসঙ্গে আম্পায়ারিং দেখতে মাঠে হাজির থাকবেন তাদের তিন ছেলে শাহজায়েব, উমের এবং জাহির। 

দুই সপ্তাহ আগে ছিল নাঈম-জাসমিনের ২৩তম বিবাহবার্ষিকী। তার পরই জাসমিন টনটনে ইংল্যান্ড এবং দক্ষিণ আফ্রিকার মহিলা দলের টেস্ট ম্যাচে আম্পায়ারিং করেন।

এমন বিরল ইতিহাস গড়তে পেরে দারুণ খুশি জাসমিন। তিনি বলেন, ‘ল্যাঙ্কাশায়ার ও গ্রেটার ম্যানচেস্টারে আমরা এক সঙ্গে অনেক ম্যাচ খেলিয়েছি। তখন কেউ বুঝতেই পারেননি আমরা বিবাহিত। এ বার বড় মঞ্চে সুযোগ পেয়ে আমরা দু’জনেই সম্মানিত।’

খেলোয়াড়ি জীবনে পাকিস্তানের হয়ে খেলেছেন নাঈম  আশরাফ। আকস্মিক চোটে খেলা ছাড়তে বাধ্য হন। আম্পায়ারিং শুরু করেন।

স্বামীর পেশায় কীভাবে জড়িয়ে গেলেন জাসমিন?

সে প্রসঙ্গে এ নারী আম্পায়ার বলেন, ‘আমরা অনেক কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। নাঈম ক্রিকেট ছাড়তে চায়নি। ও যখন স্টেজ থ্রি কোর্সটা করছে, দেখলাম হাতের ব্যথা তখনও যায়নি। হাত তুলতে পারছিল না। লিখতে কষ্ট হচ্ছিল ওর। আমি ঠিক করলাম ওর হয়ে নোট লিখে দেব।’

এরপর তিনি বলেন, ‘সেটা করতে গিয়ে দেখলাম, আমি তো অনেক কিছুই জানি। আমার গুরুও আমাকেও আম্পায়ারিং শিখতে বললেন। শুরুতে ‘না’ বলে দিয়েছিলাম। নাঈম একদিন বলল, আমারও আম্পায়ারিংয়ে আসা উচিত। বলল, নারীদের সামনে দৃষ্টান্ত তুলে ধরা উচিত। আমার স্বামীর জন্যই আজ আমি আম্পায়ার হতে পেরেছি।’