যেকোনো সময় তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালাবে চীন!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ০৯:০৮ এএম, ৩ আগস্ট ২০২২ বুধবার

যেকোনো সময় তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালাবে চীন!

যেকোনো সময় তাইওয়ানে সামরিক অভিযান চালাবে চীন!

মার্কিন প্রেডিডেন্ট জো বাইডেনসহ যুক্তরাষ্ট্রকে দফায় দফায় হুঁশিয়ারি দেওয়া সত্ত্বেও দেশটির হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফর করেছেন। আর এটিকে চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষার একটি চ্যালেঞ্জ। 

এ প্রতিক্রিয়ায় তাইওয়ানে সামরিক পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছে চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। 

মঙ্গলবার রাতে মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র উইউ কিয়ান  এ তথ্য জানান।

উইউ কিয়ান বলেন, চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি অত্যন্ত সতর্ক অবস্থায় রয়েছে এবং তারা সামরিক অভিযানের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আমরা তাইওয়ানের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে অভিযান চালাব।

তিনি আরো বলেন, চীনের সার্বভৌমত্ব ও ভৌগলিক অখণ্ডতা রক্ষা, তাইওয়ানের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের দমন ও তাইওয়ানের স্বাধীনতার রক্ষার জন্য আমাদের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে বহিরাগত শক্তির অযাচিত নাক গলানোর জবাব হিসেবে এ অভিযান পরিচালিত হবে।

এর আগে, পূর্ব ও দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ সফর করতে সোমবার ওয়াশিংটন ত্যাগ করেন পেলোসি। এ সফরে সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান সফরের কথা রয়েছে। কিন্তু তাইওয়ান সফরের কোনো সূচি ছিল না। তবে তিনি ওয়াশিংটন ছাড়ার আগেই আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে চাউর হয়ে যায়- চলতি এ সফরে তাইওয়ানেও যাবেন তিনি। যুক্তরাষ্ট্র ও তাইওয়ান সরকারের একাধিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোকে এ বিষয়ে নিশ্চিত করেন। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এ খবর প্রচারিত হওয়ার পর সোমবারই যুক্তরাষ্ট্রকে সতর্কবার্তা দেয় চীনের সরকার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান সোমবার বেইজিংয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যদি পেলোসি সত্যিই তাইওয়ান সফরে আসেন, তাহলে তার পরিণতি খুবই গুরুতর হবে।

চীনের সেনাবাহিনী এক্ষেত্রে ‘চুপচাপ অলসভাবে বসে থাকবে না’ বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন লিজিয়ান।

চীনের এ হুঁশিয়ারির জবাবে মঙ্গলবার হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি সাংবাদিকদের জানান, পেলোসির (তাইওয়ানে) যাওয়ার অধিকার রয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র চীনের হুমকিকে ভয় পায় না। যদিও পেলোসি তাইওয়ানে যাবেন কিনা তা নিশ্চিত করেননি তিনি।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেনও মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, স্পিকার তাইওয়ানে সফর করবেন কিনা তা সম্পূর্ণ নির্ভর করছে তার ব্যক্তিগত ইচ্ছার ওপর।

শেষ পর্যন্ত চীনের হুঁশিয়ারিকে আমলে না নিয়ে মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত পৌনে ১১টার দিকে তাইওয়ানে যান ন্যান্সি। তাইওয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জোসেফ উ নিজে উপস্থিত থেকে ন্যান্সি পেলোসিকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান । ১৯৯৭ সালের পর এটি কোনো মার্কিন শীর্ষ রাজনীতিকের তাইওয়ান সফর।

ন্যান্সি তাইওয়ানে পৌঁছানোর কিছু সময় পরই সামরিক অভিযান চালানোর ঘোষণা দিল চীনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।