1. প্রচ্ছদ
2. আন্তর্জাতিক

কানাডায় বাংলাদেশিদের চাকরির সুযোগ, কাজ পাবেন পরিবারের সদস্যরাও

তীব্র শ্রমিক সংকট মেটাতে ওপেন ওয়ার্ক পারমিটধারীদের (ওডব্লিউপি) পরিবারের সদস্যদের জন্য কাজের যোগ্যতা শিথিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কানাডা। আগামী ২০২৩ সাল থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে দেশটির সরকার। এ সিদ্ধান্তের ফলে বাংলাদেশ ও অন্যান্য দেশের লাখ লাখ পেশাজীবী দেশটিতে কাজের সুযোগ পাবেন।

ওপেন ওয়ার্ক পারমিটের (ওডব্লিউপি) মাধ্যমে কানাডায় নিয়োগকর্তার অধীনে যেকোনো ধরনের কাজের অনুমতি পান বিদেশি নাগরিকরা।

গত শুক্রবার কানাডার অভিবাসন, শরণার্থী এবং নাগরিকত্ব বিষয়ক মন্ত্রী শন ফ্রেজার ঘোষণা দেন, তার দফতর অস্থায়ী বিদেশী কর্মীদের পরিবারের সদস্যদের জন্য ওয়ার্ক পারমিট সম্প্রসারণ করছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় তিনি বলেন, পরিবারের সদস্যদের জন্য ওয়ার্ক পারমিটের সম্প্রসারণ করছে কানাডা। ২০২৩ সাল থেকে শুরু হচ্ছে এ কর্মসূচি। এর মাধ্যমে একজন প্রধান আবেদনকারীর স্ত্রী ও সন্তানরা কানাডায় কাজ করার যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে কানাডার এ মন্ত্রী বলেন, কানাডায় মূল আবেদনকারীর পরিবারের সদস্যদের কাজের পারমিটের যোগ্যতা সম্প্রসারণ করা হলে তা নিয়োগকর্তাদের প্রয়োজনীয় কর্মী খুঁজে পেতে ও শ্রমিক সংকট মেটাতে সহায়তা করবে।

ফ্রেজার বলেন, সারাদেশে নিয়োগকর্তারা শ্রমিক সংকটকে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। নিয়োগকর্তাদের ঘাটতি পূরণে ও প্রয়োজনীয় কর্মী খুঁজে পেতে নতুন এ পদক্ষেপ  সাহায্য করবে। পরিবারের সদস্যদের দক্ষতার সবস্তরে কাজের পারমিট সম্প্রসারণ করা হবে। এর ফলে ২ লাখেরও বেশি বিদেশি শ্রমিকের পরিবারের সদস্যরা কানাডায় কাজের সুযোগ পাবেন।

দেশটির সরকারের এ ঘোষণার আগে মূল আবেদনকারী যদি কানাডায় উচ্চ-দক্ষতাসম্পন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকতেন, তাহলেই কেবল স্বামী/স্ত্রী ওয়ার্ক পারমিটের জন্য যোগ্য বিবেচিত হতেন।

কানাডায় কর্মরত পরিবারগুলোকে একত্রিত করে কর্মীদের মানসিক ও শারীরিক সুস্থতা এবং আর্থিক স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করাই নতুন এ পদক্ষেপের লক্ষ্য। এর ফলে কর্মীরা তাদের সামগ্রিক কাজের পরিবেশ এবং পরিবারের সঙ্গে আরো ভালোভাবে সুসংহত হওয়ার সুযোগ পাবেন বলে প্রত্যাশা করেছেন ফ্রেজার।