রুমিন ফারহানাকে এক হাত নিলেন আব্দুস সাত্তার

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:৪৪ এএম, ৭ জানুয়ারি ২০২৩ শনিবার

রুমিন ফারহানাকে এক হাত নিলেন আব্দুস সাত্তার

রুমিন ফারহানাকে এক হাত নিলেন আব্দুস সাত্তার

দলীয় সিদ্ধান্তে সংসদ থেকে পদত্যাগ করে আবার উপ-নির্বাচনের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা নির্বাচন অফিস থেকে মনোনয়নপত্র নিয়েছেন সদ্য পদত্যাগ করা বিএনপির সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া। এরপর দল থেকেও তাকে বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু তাতেও থামেনি বিএনপিতে চর্চা।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তারের মনোনয়নপত্র কেনার বিষয়ে নিজের ফেসবুক লাইভে এসে কথা বলেছেন সংসদ থেকে পদত্যাগকারী বিএনপির সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। তিনি বলেছেন, উকিল আবদুস সাত্তার লোভে পড়ে, নয়তো সরকারের প্রয়োগ করা চাপে মনোনয়নপত্র কিনেছেন।

রুমিনের এমন বক্তব্যকে ভালোভাবে নেয়নি সাত্তার। দিয়েছেন কড়া জবাব। বলেছেন, বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের সিদ্ধান্তটা দূরদর্শী ছিল না। যদি আমাদের সঙ্গে দল এ বিষয়ে পরামর্শ করত, তাহলে হয়তো ভালো পরামর্শ দিতে পারতাম। তারপরও দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যে কারণে আমরা এটা মানতে বাধ্য।’

শুধু তাই নয় দলের বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগও করেছেন। তিনি বলেছেন, দল মনে করে না, আমাদের আর প্রয়োজন আছে। দলের জেলা ও উপজেলা কমিটিও কোনো কিছু করার ক্ষেত্রে পরামর্শ নেয় না, জিজ্ঞেসও করে না। এতে খারাপ লাগে। এখন মনে হচ্ছে হয়তো দলে আর আমাদের প্রয়োজন নেই। এ অবস্থায় পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’

উকিল আবদুস সাত্তারের দল থেকে পদত্যাগ এবং উপ-নির্বাচনে মনোনয়নপত্র ঘটনায় রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, এটা সুস্পষ্ট যে, তৃণমূল বিএনপি নির্বাচনে যাওয়ার পক্ষে। উকিল আবদুস সাত্তার শুধু একা নন, এর আগে নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচনে বিএনপি নেতা তৈমুর আলম খন্দকার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে নির্বাচন করেছিলেন। পরে দল তাকে বহিস্কার করে।

এছাড়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে সাবেক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু এবং মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নিজাম উদ্দিন কায়সার নির্বাচন করেছিলেন। অর্থাৎ নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে বিএনপিতে মতামতের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। আর এই সংখ্যা বাড়াতে দলের ভেতর বিদ্রোহের আশঙ্কা করছেন কেন্দ্রীয় একাধিক নেতারা।