দেশ পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই বিএনপির

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১১:৩৫ এএম, ২২ জানুয়ারি ২০২৩ রোববার

দেশ পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই বিএনপির

দেশ পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই বিএনপির

বিএনপির দেশ পরিচালনার কোনো যোগ্যতা নেই। বিএনপিকে এই যোগ্যতা প্রমাণ করতে হলে দুর্নীতি, নৈরাজ্য, মানুষ হত্যা থেকে সরে আসতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ।

গতকাল শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে রাজশাহীর শহীদ এএইচএম কামরুজ্জামান মিলনায়তনে আয়োজিত যুবলীগের বর্ধিত সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি। আগামী ২৯ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা সফল করার লক্ষ্যে রাজশাহীতে যুবলীগের এই বিভাগীয় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় যেতে হলে জনগণের কাছে ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি নাকে খত দিতে হবে। কিন্তু তারা (বিএনপি নেতারা) তা পারবে না। আর এ জন্যই তারা বাংলাদেশকে ধ্বংস করতে ক্ষমতায় আসার ষড়যন্ত্র করছে। ক্ষমতায় আসতে বিদেশি প্রভুদের কাছে গিয়ে লাভ হবে না। ক্ষমতায় আসতে হলে আগে জনগণের কাছে মাফ চান। নাকে খত দিয়ে আসেন।

বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন বাস্তবায়নের যোগ্যতা একমাত্র শেখ হাসিনার আছে। প্রধানমন্ত্রীর জনপ্রিয়তার কারণে তার প্রতি এ দেশের জনগণের আকর্ষণ অনেক বেড়ে গেছে। সেটাই আগামী ২৯ জানুয়ারির জনসভায় প্রমাণিত হবে, বলেন শেখ পরশ।

ফজলে শামস পরশ বলেন, আজকের পর যুবলীগের নেতাকর্মীরা নিজ নিজ ইউনিটে গিয়ে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নেবেন। সমাবেশ আমাদেরকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। সমাবেশে শক্তি প্রদর্শন ও জন সম্পৃক্ততার মাধ্যমে আমরা বিরোধী শক্তিকে জানাতে চাই, শেখ হাসিনা সারা পৃথিবীতে বিশেষ করে এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও আদর্শিক নেত্রী। আপনাদের সর্বোচ্চ জনবল নিয়ে সমাবেশে শরিক হবেন। আজ থেকেই সেই প্রস্তুতি নিতে হবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, যারা নতুন করে হাওয়া ভবন, খোয়াব ভবন তৈরি করতে চায় তাদেরকে যুবলীগ প্রতিহত করবে। বিএনপি-জামায়াতের স্বপ্ন পূরণ হতে দেব না। প্রধানমন্ত্রীর আগমনে রাজশাহী জনসমুদ্রে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, শেখ ফজলুল হক মনি যুবলীগকে শক্তিশালী করেছিলেন। তাকেও হত্যা করা হয়েছিল। মনির সুযোগ্য সন্তান পরশ ও নিখিলকে শেখ হাসিনা দায়িত্ব দিয়েছেন। রাজশাহীতে যুবলীগের যত ইউনিট আছে তাদেরকে মাঠে, গ্রামে, নগর-বন্দরে গিয়ে জনমত গঠন করতে হবে। আগামী দিনের ক্ষমতা বদলের মালিক হবেন এ দেশের জনগণ।

আব্দুর রহমান বলেন, ওরা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তাদের বলতে চাই, সংবিধান বহির্ভূত এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। আগামী নির্বাচনের সরকার প্রধান থাকবেন শেখ হাসিনা। বিএনপি নতুন করে আগুন জ্বালাতে, যানবাহন পোড়াতে চায়। যুবলীগ তা ভেঙে দেবে। আগামী নির্বাচনে অতন্দ্র প্রহরী হয়ে আমাদেরকে কাজ করতে হবে। কারণ রাজশাহীর ৬টি আসনেই আওয়ামী লীগকে জনগণ ম্যান্ডেট দেবেন।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা ইতোমধ্যে পৃথিবীর যেকোনো দেশের চেয়ে আগেই করোনার ৩ ডোজ টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী যেখানেই জনসভা করছেন সেখানেই জনসমুদ্রে রূপ নিচ্ছে। আমরা রাজশাহীবাসী দেখিয়ে দিতে চাই ২৯ জানুয়ারির শেখ হাসিনার জনসভা হবে জনসমুদ্র। যারা আন্দোলনের নামে জনগণের ক্ষতি করবে, যে হাত দিয়ে গাড়ি ভাঙবে, আগুন দেবে সেই হাত ভেঙে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সভাপতিত্বে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল। বর্ধিত সভায় রাজশাহী মহানগরসহ বিভাগের আট জেলা ও উপজেলার যুবলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।