কবি শামসুর রাহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

নিউজ ডেস্ক

নতুনের সাথে আমরা

প্রকাশিত : ১০:১৮ এএম, ১৭ আগস্ট ২০২০ সোমবার

কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, কলামিস্ট, অনুবাদক ও গীতিকার শামসুর রাহমান। ছবি: সংগৃহীত

কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, কলামিস্ট, অনুবাদক ও গীতিকার শামসুর রাহমান। ছবি: সংগৃহীত

আধুনিক বাংলা কবিতার অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৬ সালের ১৭ আগস্ট তার নশ্বর দেহ ছেড়ে চলে গেলেও আজীবন কবিতায় সমর্পিত এ কবি বেঁচে আছেন বাঙালির সত্তায়।

শামসুর রাহমানকে বলা হয় কবিতার বরপুত্র। বাংলা কবিতায় তিনি নতুন ধারা সৃষ্টি করেছিলেন। উভয় বাংলায় সমকালীন সময়ে অন্যতম কবির মর্যাদায় প্রতিষ্ঠিত হন তিনি। বাংলা কবিতার অন্যতম এ প্রাণপুরুষ তার সারাজীবনের রচনায় মানুষকে আশার কথা বলেছেন।  তার কবিতা হয়ে উঠেছিল গণমানুষের কবিতা। মৌলবাদ ও স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তার কবিতা মানুষকে জুগিয়েছে প্রেরণা। সময়ের বহুল পঠিত কবি শামসুর রাহমান। অধিকার আদায়ে তিনি মানুষের পাশে ছিলেন।

এ কবির কবিতায় শুধু স্বাধীনতাই নয়, মৌলবাদ, ধর্মান্ধতা, প্রেম, দ্রোহ, বিশ্বজনীনতা সবই উঠে এসেছে। পঞ্চাশ দশক থেকে বাঙালি জাতির নানা সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধ, সামাজিক জীবনের অসঙ্গতি, ব্রিটিশ ও পশ্চিমাদের শোষণের বিরুদ্ধে তার সোচ্চার কণ্ঠ কবিতায় নির্মিত হয় এক অনন্য বাক-প্রতিমা। এ জন্য তাকে স্বাধীনতার কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।

১৯২৯ সালের ২৩ অক্টোবর পুরানো ঢাকার মাহুতটুলির ৪৬ নম্বর বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন বাংলা কবিতার অন্যতম এ প্রাণপুরুষ। কবি শামসুর রাহমানের পৈতৃক নিবাস বর্তমান নরসিংদী জেলায়। দীর্ঘ ৭৭ বছরের বর্ণময় জীবনে তিনি নিমগ্ন ছিলেন কবিতা সৃজনের মোহে ও অনুরাগে। তিনি একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক, ঔপন্যাসিক, কলামিস্ট, অনুবাদক ও গীতিকার।

১৯৫৭ সালে দৈনিক মর্নিং নিউজে সাংবাদিক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন তিনি।  ১৯৫৭-১৯৫৯ রেডিও পাকিস্তানের প্রোগ্রাম প্রডিউসার ছিলেন।  ১৯৬০-১৯৬৪ দৈনিক মর্নিং নিউজে সিনিয়র সাব-এডিটর, ১৯৬৪-১৯৭৭ দৈনিক পাকিস্তান ও দৈনিক বাংলায় সহকারী সম্পাদক এবং ১৯৭৭-১৯৮৭ দৈনিক বাংলা ও সাপ্তাহিক বিচিত্রার সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ৬০টি কাব্যসহ তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থ শতাধিক।

কবি শামসুর রাহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় কবিতা পরিষদ ও শামসুর রাহমান স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে আজ সকাল ১০টায় বনানী গোরস্থানে কবির কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং ১ মিনিট নীরবতা পালন করে কবির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হবে।