তৃণমূল পুনর্গঠনে অগ্রগতি নেই বিএনপির
নিউজ ডেস্ক
নতুনের সাথে আমরা
প্রকাশিত : ১১:৪১ এএম, ২৯ নভেম্বর ২০২০ রোববার
প্রতীকী ছবি
বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা ও এর অধীনে থাকা পৌর-থানা-উপজেলাসহ সব ইউনিটে দ্রুত সময়ের মধ্যে নতুন কমিটি গঠন করতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশনা এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে। তবে শীর্ষ নেতা ও দায়িত্বপ্রাপ্তদের বিভক্তি ও অবহেলায় পুনর্গঠনের কাজ একেবারেই আটকে আছে।
এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভের পাশাপাশি হতাশাও বাড়ছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অবহেলায় সময়ক্ষেপণ না করে দ্রুত কমিটি দেয়ার তাগিদ তাদের।
দলীয় সূত্র জানায়, দলীয় কোন্দলের কারণে ও সিনিয়র নেতাদের গাফিলতিতে পুনর্গঠনের কাজ আটকে আছে। এছাড়া বর্তমানে দলের অন্তত দু’ডজন কেন্দ্রীয় নেতা করোনায় আক্রান্ত। পাশাপাশি আগে যারা আক্রান্ত হয়েছেন তারা শারীরিকভাবে পুরোপুরি সুস্থ নন। দুই এক জায়গায় পুনর্গঠনের কাজ শুরু হলেও বেশিরভাগেরই অগ্রগতি নেই।
বিএনপির ৮২টি সাংগঠনিক জেলা শাখার মধ্যে বেশিরভাগই মেয়াদোত্তীর্ণ। এর মধ্যে ৩১ জেলা শাখায় রয়েছে আহ্বায়ক কমিটি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দলের একাধিক নীতিনির্ধারক জানান, দল পুনর্গঠন নিয়ে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানেরও গড়িমসি রয়েছে। তবে আগামী মার্চের আগেই সব জেলার পুনর্গঠনের কাজ শেষ করার নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। পরে মার্চের যেকোনো দিন দলের কাউন্সিল করারও চিন্তা রয়েছে।
তারা আরো জানান, তবে দলের গুরুত্বপূর্ণ এ বিষয় নিয়ে লন্ডনে পলাতক তারেক রহমানের তেমন কোনো তদারকি নেই। তিনি যাদের দায়িত্ব দিয়েছেন, তারা আবার তারেককে পাশ কাটিয়ে পছন্দের নেতাদের কমিটিতে স্থান দিতে তৎপরতা চালাচ্ছেন। সব মিলিয়ে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও রয়েছে।
করোনা মহামারির কারণে প্রায় ৬ মাস কমিটি গঠন ও পুনর্গঠনসহ সাংগঠনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকার পর ২০ সেপ্টেম্বর থেকে আবার শুরু করে বিএনপি। সব পুনর্গঠনের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু শীর্ষ নেতাসহ দায়িত্বপ্রাপ্ত অদক্ষতা ও বিভক্তিতে পুনর্গঠন একেবারেই থমকে আছে।