ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আজ শাবিপ্রবিতে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০২২  

আজ শাবিপ্রবিতে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন

আজ শাবিপ্রবিতে সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন

আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে নির্মিত শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হবে৷

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে এম আব্দুল মোমেন।

শনিবার থেকে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করতে পারবে।

 এ তথ্য জানিয়েছেন শাবিপ্রবি’র সৈয়দ মুজতবা আলী হলের প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবু সায়েম আরফিন খান।

প্রভোস্ট ড. মোহাম্মদ আবু সায়েম আরফিন খান বলেন, ‘শুক্রবার সৈয়দ মুজতবা আলী হলের বর্ধিতাংশের উদ্বোধন করা হবে। শনিবার থেকে নতুন ভর্তিকৃত ছাত্ররা হলে অবস্থান করতে পারবে।’

হল প্রভোস্ট সূত্রে জানা যায়, ৭২,৯০৫ বর্গ ফুট আয়তনের হলটিতে বর্তমানে মোট ৪৪০টি সিট রয়েছে। হল বর্ধিতাংশের পূর্বে এই হলে তিন তলাবিশিষ্ট একটিমাত্র ব্লকে শিক্ষার্থী ধারণক্ষমতা ছিলো ৬৮ জন। হল বর্ধিতকরণের ফলে এতে আরও ৩৭২জন শিক্ষার্থীর আসন সংকুলান হয়েছে। বর্তমানে হলটিতে ৪টি ব্লক রয়েছে৷ হল বর্ধিতকরণের নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৮ কোটি ৭৮ লক্ষ ৪১ হাজার টাকা।

হল প্রভোস্ট জানান, আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা করে সৈয়দ মুজতবা আলী হলকে প্রস্তুত করা হয়েছে। বর্তমানে এতে শিক্ষার্থীদের অধ্যয়নের জন্য ৩টি রিডিং রুম, বিদেশি, বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন এবং চা-শ্রমিকের সন্তান শিক্ষার্থীর জন্য ১টি করে কক্ষ, আদিবাসী শিক্ষার্থীদের জন্য ২টি কক্ষ, ১টি অতিথি কক্ষ ও ১টি মেডিকেল কক্ষ রয়েছে। আগুন নেভানো বা নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য হলটিতে ৪৫টি অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।

সম্পূর্ণ হল জুড়ে রাখা হয়েছে ওয়াইফাইয়ের ব্যবস্থা। হলের টিভি রুমে দেওয়া হয়েছে ৭৫ ইঞ্চির একটি টেলিভিশন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিতের জন্য হলের ডাইনিংয়ের রান্নাঘরকে সিসিটিভির আওতায় আনা হয়েছে বলে জানান প্রভোস্ট।

শনিবার থেকে সৈয়দ মুজতবা আলী হলে নতুন ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা বরাদ্দকৃত কক্ষে অবস্থান করতে পারবেন৷

আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের সিট বরাদ্দের জন্য ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দের তদবির ছিলো কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রভোস্ট ড. আরফিন খান বলেন, ‘অনেক রেফারেন্স আসলেও আমরা নিয়ম অনুযায়ী মেধাতালিকার ভিত্তিতে ভাইবার মাধ্যমে যাচাই-বাচাই করে বিভাগ ভিত্তিক গরীব ও অস্বচ্ছল শিক্ষার্থীদের সিট বন্টন করেছি৷ এ বিষয়টি আমরা মোটামুটি অনেকটুকু বজায় রাখতে পেরেছি।’ ইতোমধ্যে হলে ৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ভর্তি হয়েছে বলেও জানান প্রভোস্ট।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৩ই আগস্ট শাবিপ্রবি’র সৈয়দ মুজতবা আলী হলের উদ্বোধন করেন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত৷ পরবর্তীতে অধিকতর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের শুরুতে এই হলের বর্ধিত করণের কাজ শুরু হয়৷

সর্বশেষ
জনপ্রিয়