ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

‘ইভিএমে জীবনের প্রথম ভোট দিতে পেরে আমি ধন্য-গর্বিত’

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৭:০১, ১৬ জানুয়ারি ২০২২  

ছবিঃ সংগৃহীত

ছবিঃ সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জের মিজমিজি পশ্চিম পাড়া উচ্চ বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে জীবনের প্রথম ভোট দিতে এসেছেন নীলিমা আক্তার হেমী। ভোট প্রদানের পর তার অনুভূতি ও ইভিএম নিয়ে কথা বলেছেন হেমী। 

তিনি বলেন, এখানে আমি আমার প্রথমবারের মতো ভোট প্রদান করেছি। আমরা যারা তরুণ প্রজন্মের রয়েছি তারা সবাই ইলেকট্রনিক ডিভাইসের সঙ্গে পরিচিত। এ কারণে আমাদের ভোট প্রদান করতে কোনো সমস্যা হয়নি এবং সময়ও অনেক কম লেগেছে। আমার এক থেকে দুই মিনিট সময় লেগেছে ভোট প্রদান করতে। ইভিএমে আমি ভোট দিতে পেরে নিজেকে ধন্য এবং গর্বিত মনে করছি।

নীলিমা আক্তার হেমী বলেন, কিন্তু যারা মধ্য বয়সী কিংবা বয়স্ক যারা তারা ইভিএমের পদ্ধতিটা বুঝতে একটু সময় লেগেছে। তাদের জন্য কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। তাদের জন্য বুঝিয়ে দেওয়া লাগছে। এ কারণে সিরিয়াল অনেক লম্বা হয়ে যাচ্ছে। ডিভাইসের বোতাম চাপার পর সাউন্ডের জন্য তারা মনে করছে এখন সে কোন বোতাম চাপবে। যারা ডিভাইসের সঙ্গে পরিচিত নয় তাদের পাঁচ থেকে দশ মিনিট করে সময় লাগছে। 

জীবনের প্রথম ভোট এবং সেটি ইভিএমে। এই অনুভূতি কেমন লেগেছে জানতে চাইলে নতুন ভোটার নীলিমা বলেন, এটা খুবই দারুণ অনুভুতি। কম সময়ে এই পদ্ধতিতে ভোট প্রদানের জন্য ইভিএমই সেরা। এছাড়া আমার কাছে মনে হয়েছে এই পদ্ধতিতে একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার সুযোগ নেই বললেই চলে। যেই বোতামে আমি চাপ দিচ্ছি শুধুমাত্র সেই ভোটটি পাচ্ছেন। আমার মা-খালারা আগে কাগজে সিল মেরে ভোট দিতেন সেই ভোটটি এদিক-ওদিক হওয়ার একটা সুযোগ থাকতো কিন্তু ইভিএমে সেটি নেই। 

ইভিএম সম্পর্কে এই তরুণী বলেন, নারায়ণগঞ্জে ইভিএমে এই প্রথম ভোট দিচ্ছেন ভোটাররা। আমি মনে করি প্রার্থীরা যখন বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চান তখন থেকেই তাদের উচিত ভোটারদেরকে ইভিএম সম্পর্কে ধারণা দেওয়া। 

একজনের ভোট আরেকজন দেওয়ার সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, একজন ভোটারের যখন ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়া হয় তখন তার ছবিসহ নাম-ঠিকানা মনিটরে ভেসে ওঠে। এতে করে একজনের ভোট অন্যজন দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করছি।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়