ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

ঈদের দিন যে ছয়টি কাজ করতেন বিশ্বনবী

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৩, ১৩ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

একমাস সিয়াম সাধনের পর এলো আনন্দের উৎসব ঈদ। ঈদ মানেই খুশির দিন, আনন্দের দিন। বছরে দুটি ঈদ উদযাপিত হয়। ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা। ‘ঈদুল ফিতর’ শব্দ দুটি আরবি, যার অর্থ হচ্ছে উৎসব, আনন্দ, খুশি, রোজা ভেঙ্গে ফেলা ইত্যাদি।

দীর্ঘ এক মাস সিয়াম সাধনা ও ইবাদত-বন্দেগীর পর বিশ্ব মুসলিম উম্মাহ শাওয়াল মাসের চাঁদের আগমনে রোজা ভেঙ্গে আল্লাহর বিশেষ শোকরিয়াস্বরূপ যে আনন্দ-উৎসব পালন করেন- শরিয়তের পরিভাষায় তাই ঈদুল ফিতর। ঈদের দিন নবী করিম (সা.) ছয়টি কাজ করতেন। চলুন জেনে নেয়া যাক সেগুলো-

তাকবীর পাঠ করা

রমজান মাসের শেষ দিন সূর্যাস্তের পর অর্থাৎ ঈদের রাত থেকে শুরু করে ঈদের ছালাত আদায় পর্যন্ত তাকবীর পাঠ করা। তাকবীরের শব্দসমূহ হচ্ছে, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকাবার লাইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। পুরুষের জন্য উচ্চঃস্বরে তাকবীর বলা সুন্নাত। নারীরা নিঃশব্দে তাকবীর বলবেন। মুসান্নাফ ইবনে আবী শাইবা ২য় খন্ড, পৃ. ১৬৫।

সাজগোজ করা

পুরুষের জন্য সুন্নাত হলো গোসল করে, সুন্দর পোশাক পরিধান করে, সুগন্ধি মেখে, সুসজ্জিত হয়ে ঈদগাহ অভিমুখে রওয়ানা হওয়া। নারীরা নিজেদের মহলে সুসজ্জিত হয়ে, সুগন্ধি মেখে আনন্দ-উৎসব করবেন। সৌন্দর্য প্রদর্শণীর জন্য হওয়া হারাম। বরং তারা পর্দা করে বের হবেন। এ সম্পর্কে রাসুল (সা.) বলেন ‘কারো যদি নিজেকে ঢাকার চাদর না থাকে তার অন্য বোন যেন তাকে নিজের অতিরিক্ত চাদরটি দেয়’। মুখতার লিল হাদিস, পৃ. ৪৪১।

খেজুর খাওয়া

নামাজের জন্য ঈদগাহের দিকে রওয়ানা হওয়ার পূর্বে ৩টি, ৫টি এরকম বেজোড় সংখ্যক খেজুর খাওয়া সুন্নাত। হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, প্রিয় নবী (সা.) ঈদুল ফিতরের দিন সকালে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন। আদ-দুরূসুর রামাদানিয়াহ, পৃ. ১৮৫।

ঈদগাহে গমন

ঈদের মাঠে পায়ে হেঁটে যাওয়া এবং ভিন্ন পথে ফিরে আসা সুন্নাত। হজরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) ঈদের দিন এক পথে ঈদগাহে যেতেন, অন্য পথে বাড়ি ফিরতেন। ফিতনার আশঙ্কা না থাকলে মা-বোনদেরও ঈদগাহে যাওয়া উত্তম। ফিকহে মানহাজী, ১ম খন্ড, পৃ. ২২৮।

সদকাতুল ফিতর আদায়

ঈদুল ফিতরের দিনে অন্যতম প্রধান করণীয় হচ্ছে, ফিতরা প্রদান করা। নর-নারী, ছোট-বড়, স্বাধীন-গোলাম সবার ওপর ফিতরা আদায় করা ওয়াজিব। বুখারি ও মুসলিম।

ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করা

এ দিন মেহমানদারী করা, দান সদাকা করা। সবার সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলা উত্তম। হজরত যুবায়ের ইবনে নুফায়র হতে বর্ণিত রাসুল (সা.) এর সাহাবীগণ যখন ঈদের দিনে দেখা করতেন তখন একে অপরকে বলতেন, ‘তাকাব্বাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকা।’ ফাতহুল বারী ২ য় খন্ড, পৃ. ৪৪৬।

সবশেষে, প্রত্যেক মুসলিমকে ঈদুল ফিতরের এই দিনটির মত বছরের প্রতিটি দিন নেক আমল এবং হাশি-খুশির মাধ্যমে অতিবাহিত করার চেষ্টা করা উচিত। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ঈদুল ফিতরের গুরুত্ব, তাৎপর্য, শিক্ষা অনুধাবন করে সে মোতাবেক আমল করার তাওফিক দান করুন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়