ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঋণ আদায়ে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করার নির্দেশ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৪, ১৪ জুন ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন (পিআইএফ) এর আওতায় বিতরণ করা ঋণ আদায়ে পিআইএফ মনিটরিং ইউনিট নামে আলাদা একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

রোববার (১৩ জুন) কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ ‘আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন (পোষ্ট ইমপোর্ট ফাইন্যান্সিং-পিআইএফ) এর নীতিমালা’ শিরোনামে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে। ব্যাংক কোম্পানী আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। এ নির্দেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে। 

আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন নীতিমালা প্রসঙ্গে পিআইএফ আদায় ও তদারকির বিষয়ে নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পিআইএফ এর আওতায় বিতরণকৃত ঋণ প্রদান, আদায় ও তদারকির জন্য ‘পিআইএফ মনিটরিং ইউনিট’ নামে আলাদাভাবে একটি বিশেষ ইউনিট গঠন করতে হবে। এই ইউনিটে অর্থ ঋণ আদালত আইনসহ ব্যাংকিং আইন-কানুন ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক বিধি-বিধান সম্পর্কে অভিজ্ঞ এবং ঋণ আদায়ের কৌশল সম্পর্কে দক্ষ জনবল পদায়ন করতে হবে। ইউনিটের কার্যক্রম নিয়মিতভাবে তদারকি করার লক্ষ্যে একজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দায়িত্ব দিতে হবে। 

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, ‘পিআইএফ মনিটরিং ইউনিট’ ঋণপত্র-সহ পিআইএফ এর আওতায় ঋণ অনুমোদন ও বিতরণে বিদ্যমান বিধি-বিধান যথাযথভাবে পরিপালিত হচ্ছে কি না তা নিয়মিতভাবে তদারকি করবে। এক্ষেত্রে কোন অনিয়ম চিহ্নিত হলে তা তাৎক্ষণিকভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষের  কাছে উপস্থাপন করবে। ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ কর্তৃক ঋণপত্রসহ পিআইএফ সংশ্লিষ্ট কার্যক্রম ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে অথবা প্রয়োজনে যে কোন সময় নিরীক্ষা করতে হবে। এছাড়াও ‘পিআইএফ মনিটরিং ইউনিট’ এর সাহায্যে এরূপ কার্যক্রম নিয়মিতভাবে তদারকি করতে হবে; ব্যাংকের বহিঃনিরীক্ষক প্রতিষ্ঠান নিয়োগের সময় ব্যাংকের পর্ষদ দারা নির্ধারিত টার্মস অব রেফারেন্সে ঋণপত্র এবং/বা পিআইএফ সংক্রান্ত বিষয়ে সামগ্রিক তথ্য (অনিয়ম চিহ্নিত করত তা উল্লেখসহ) অর্ন্তভুক্ত করার শর্ত সংযোজন করতে হবে;

প্রতিটি ব্যাংকের মেয়াদোত্তীর্ণ/শ্রেণিকৃত পিআইএফ এবং মেয়াদি ঋণে রূপান্তরিত পিআইএফ আদায়ের লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা থাকতে হবে। উক্ত কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী পিআইএফ আদায়ের তথ্যাদি ‘পিআইএফ মনিটরিং ইউনিট’ এর সাহায্যে নিয়মিতভাবে পর্যালোচনা করবে এবং আদায়-অগ্রগতির তথ্যাদিসহ (খ), (গ) এবং (ঘ) নং ক্রমে উল্লিখিত বিষয়ে (যদি থাকে) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে পর্ষদীয় রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি বরাবরে উপস্থাপন করতে হবে; পর্ষদীয় রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটি’র পর্যবেক্ষণসহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে এতদ্বিষয়ে সার্বিক তথ্যাদি পরিচালনা পর্ষদে উপস্থাপন করতে হবে। পরিচালনা পর্ষদের মতামতসহ এতদ্সংক্রান্ত তথ্যাদি পর্ষদ সভার ১০ কর্মদিবসের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিআরপিডি’র টাস্কফোর্স সেল এবং ডিপার্টমেন্ট অব অফ-সাইট সুপারভিশন-এ প্রেরণ করতে হবে।

আমদানি পরবর্তী অর্থায়নের নীতিমালা’ সার্কুলারে বলা হয়েছে-

বিআরপিডি সার্কুলার নং-০৩/২০১৮ এর মাধ্যমে শুধুমাত্র নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য এবং শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে LTR/LATR/MTR/MPI ইত্যাদি এর মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল। নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বা ট্রেডিং পণ্য, শিল্পের কাঁচামালসহ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে আমদানি দায় পরিশোধের নিমিত্ত প্রদত্ত ঋণ সুবিধাসমূহ ব্যাংকসমূহ কর্তৃক LTR/LATR/MTR/MPI ইত্যাদি বিভিন্ন নামে অভিহিত করা হয়। উক্ত ঋণসমূহকে সাধারণত প্রচলিত ব্যাংকিং রীতিতে LTR/LATR এবং ইসলামী ব্যাংকিং রীতিতে MTR/MPI নামে অভিহিত করা হয়। এ পর্যায়ে, LTR/LATR/MTR/MPI ইত্যাদি ঋণের মেয়াদ নির্ধারণের পাশাপাশি ব্যাংক ভেদে এরূপ ঋণের সংজ্ঞা, খাত ও মেয়াদ, অনুমোদন প্রক্রিয়া, পুনর্গঠন ও পুনঃতফসিলিকরণ, আদায় ও তদারকি ইত্যাদি বিষয়ে নিম্নবর্ণিত নির্দেশনাসমূহ অনুসরণীয় হবে।

২.১। সংজ্ঞাঃ নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্য বা ট্রেডিং পণ্য, শিল্পের কাঁচামালসহ ইত্যাদি বিভিন্ন খাতে আমদানি দায় পরিশোধের নিমিত্ত প্রদত্ত সকল প্রকার ঋণ সুবিধাসমূহ LTR/LATR/MTR/MPI ইত্যাদি যে নামেই অভিহিত হোক না কেন এসকল ঋণসমূহ বাংলায় "আমদানি পরবর্তী অর্থায়ন" এবং ইংরেজীতে "Post Import Financing (PIF)” নামে অভিহিত হবে।

খাত ও মেয়াদ
গ্রাহকের চাহিদা, সংশ্লিষ্ট পণ্যের প্রকৃতি এবং উৎপাদন/বিপণন চক্রের সাথে সঙ্গতি রেখে PIF এর মেয়াদ ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে নির্ধারিত হবে, তবে এরূপ মেয়াদ নিম্নবর্ণিত মেয়াদের অধিক হবে না।

নিত্য প্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে PIF সৃষ্টির তারিখ হতে অনধিক ৯০ (নব্বই) দিন; শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে PIF সৃষ্টির তারিখ হতে অনধিক ১৮০ দিন।

ঋণ অনুমোদন
Post Import Financing (PIF)-সমূহ মূলত ঋণপত্র (এলসি) হতে সৃষ্টি হয় বিধায় PIF-এর অনুমোদনের ন্যায় ঋণপত্র স্থাপনের অনুমোদনও একইভাবে হওয়া সমীচীন হবে। এক্ষেত্রে ঋণপত্র স্থাপন এবং PIF সুবিধা অনুমোদনের ক্ষেত্রে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুসরণীয় হবে।

এ নীতিমালায় বর্ণিত নির্দেশনাসহ বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক ইস্যুকৃত ক্রেডিট রিস্ক ম্যানেজমেন্ট গাইডলাইন, ক্রেডিট রেটিং সংক্রান্ত  Guidelines on Internal Credit Risk Rating System (ICRRS) এবং এতদ্সংক্রান্ত সকল নির্দেশনা অনুসরণপূর্বক ঋণপত্র (এলসি) স্থাপন এবং PIF সুবিধার অনুমোদনের নিমিত্ত সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক অনুমোদিত সুষ্পষ্ট নীতিমালা থাকতে হবে।

উক্ত নীতিমালায় ঋণপত্র এবং/বা PIF সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য জামানতের বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। এছাড়াও গ্রাহকের অনুকূলে ঋণপত্র স্থাপন এবং PIF (ঋণগ্রহীতা ভিত্তিক একক/পুঞ্জীভূত) এর আওতায় ঋণ অনুমোদনের নিমিত্ত ক্ষমতা অর্পণের (Delegation)  বিষয়টি সুস্পপষ্টভাবে উল্লেখ থাকতে হবে। অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট স্তরের অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক কোন ঋণগ্রহীতার অনুকূলে একক এবং ঐ গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত মোট ঋণপত্র এবং PIF-এর অনুমোদনের সীমা নির্ধারিত থাকতে হবে। তদানুযায়ী ঋণপত্র এবং PIF-এর অনুমোদন কার্য সম্পাদন করতে হবে; কোনভাবেই অনুমোদিত সীমার অতিরিক্ত ঋণপত্র স্থাপন বা PIF-এর আওতায় ঋণ সুবিধা প্রদান করা যাবে না।

অনুমোদিত সীমার আওতায় প্রতিটি ঋণপত্র স্থাপন এবং PIF সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে অনুমোদনকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক ঋণগ্রহীতার অনুকূলে মঞ্জুরিকৃত সীমার আওতায় ঋণপত্র এবং/বা PIF প্রদানের সুযোগ রয়েছে কি-না তা আবশ্যিকভাবে যাচাই করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিটি ঋণপত্র স্থাপন এবং PIF সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে অনুমোদিত সীমার আওতায় ঋণপত্র এবং/বা PIF-এর অব্যবহৃত সীমা থাকলেই কেবল নতুন ঋণপত্র এবং/বা PIF সুবিধা প্রদান করা যাবে। এছাড়া ঋণপত্রের অর্থাৎ PIF সৃষ্টির মাধ্যমে সমন্বয়ের শর্ত থাকলে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত সীমার আওতায় PIF প্রদানের সুযোগ রয়েছে কি-না বা লজমেন্টের সময়ে উক্ত সুযোগ থাকবে কি-না তা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপশি সংশ্লিষ্ট ঋণপত্রের শর্তানুযায়ী পণ্য আমদানি হয়েছে মর্মেও নিশ্চিত হতে হবে।

অব্যবহৃত সীমা হিসাবায়নের ক্ষেত্রে PIF হতে উদ্ভূত কোন ঋণ পুনঃতফসিলিকরণ হয়ে মেয়াদি ঋণে রূপান্তরিত হলে উক্ত ঋণকেও PIF হিসেবে গণ্য করতে হবে। আমদানি দায় পরিশোধের নিমিত্ত ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোন কারণে ফোর্সড ঋণ সৃষ্টি হলে ঐ ফোর্সড ঋণকেও (যে নামেই থাকুক না কেন) PIF /ঋণপত্রের সীমার আওতায় প্রদত্ত সুবিধা হিসেবে গণ্য করতে হবে।

কোন গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত PIF সুবিধা Overdue হলে উক্ত গ্রাহককে নতুন PIF সুবিধা দেওয়া যাবে না। তবে নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণে PIF সুবিধা Overdue হলে খেলাপি হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত ঐ গ্রাহকের অনুকূলে নতুন  PIF সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন হলে ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ কর্তৃক তা অনুমোদিত হতে হবে।

চ) একই গ্রুপভুক্ত বা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্রয়-বিক্রয়ের ক্ষেত্রসহ স্থানীয় ঋণপত্রের বিপরীতে  PIF সুবিধা প্রদান করা যাবে না।

পুনর্গঠন ও পুনঃতফসিলিকরণ
নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কোন কারণে  PIF সুবিধা পুনর্গঠন ও পুনঃতফসিলিকরণ প্রয়োজন হলে নিম্নবর্ণিত বিষয়সমূহ অনুসরণীয় হবে।

PIF সুবিধা পুনর্গঠন  (Restructure) বা মেয়াদ বৃদ্ধির ক্ষেত্রে এর যথার্থতা যাচাইপূর্বক ক্রমিক নং-২.২-এ উল্লিখিত মেয়াদ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন সাপেক্ষে প্রতিটি  PIF এর জন্য সর্বোচ্চ একবারের জন্য নিমোক্তভাবে বৃদ্ধি করা যাবে।

নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোগ্যপণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩০(ত্রিশ) দিন; শিল্পের কাঁচামালের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৬০(ষাট) দিন। এরূপ মেয়াদ বৃদ্ধির পূর্বে মেয়াদ বৃদ্ধির যথার্থতা যাচাইয়ের ক্ষেত্রে পণ্যের Seasonality, Nature of Trading ইত্যাদি বিষয় প্রাধান্য/অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাছাড়া পণ্যের Physical Verification করে নিশ্চিত হতে হবে পণ্য অবিক্রিত অবস্থায় ঋণগ্রহীতার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং উক্ত পণ্য মজুত করার উদ্দেশ্যে মেয়াদ বৃদ্ধি করা হচ্ছে না।

নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত কোন কারণে PIF পুনঃতফসিলিকরণ  (Rescheduling) প্রয়োজন হলে ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে পুনঃতফসিলিকরণ নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন-সাপেক্ষে পুনঃতফসিলিকরণ করা যেতে পারে। তবে এক্ষেত্রে একাধিক PIF সুবিধা একীভূত করে পুনঃতফসিলিকরণ (Rescheduling) করার ক্ষেত্রে প্রতিটি PIF-কে আলাদাভাবে চিহ্নিত করা যায় এমন প্রয়োজনীয় তথ্য (Sanction date, Nature, Limit, Purpose, Sanctioning authority etc) ও দলিলাদি পুনঃতফসিলিকরণ প্রস্তাবের সাথে দাখিল ও ভবিষ্যতের জন্য সংরক্ষণ করতে হবে এবং উক্ত ঋণসমূহ জামানত দ্বারা আবৃত করতে হবে।

PIF আদায় ও তদারকির বিষয়ে বিশেষ ইউনিট গঠন করার কথা বলা হয়েছে। তাছাড়া আমদানি দায় পরিশোধের নিমিত্ত ঋণগ্রহীতার অনুকূলে কোন নিয়ন্ত্রণ বহির্ভুত কারণে ফোর্সড ঋণ সৃষ্টি হলে ঐ ফোর্সড ঋণকে অবশ্যই  Forced Loan-PIF হিসেবে স্টেটমেন্ট অব অ্যাফেয়ার্সে  স্বতন্ত্রভাবে প্রদর্শন করতে হবে এবং Forced Loan-PIF হিসেবে সিএল-৩ তে রিপোর্ট করতে হবে;  PIF সুবিধা পুনঃতফসিলিকরণের পর মেয়াদি ঋণে রূপান্তরিত হলে সিএল-৪ এ রিপোর্ট করতে হবে এবং  RSDL(1/2/3)-PIF নামে উল্লেখ করতে হবে; নিয়মিত স্টক রিপোর্ট সংগ্রহ করতে এলটিআর স্থিতির সাথে অসঙ্গতি পরিলক্ষিত হলে আমদানিকারকের বিরুদ্ধে ব্যাংক কর্তৃক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়