ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

এআই পদ্ধতিতে ৩০ সেকেন্ডেই শনাক্ত হচ্ছে যক্ষ্মা রোগী

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:২৬, ১১ আগস্ট ২০২৩  

এআই পদ্ধতিতে ৩০ সেকেন্ডেই শনাক্ত হচ্ছে যক্ষ্মা রোগী

এআই পদ্ধতিতে ৩০ সেকেন্ডেই শনাক্ত হচ্ছে যক্ষ্মা রোগী

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) পদ্ধতির এক্স-রে মেশিনসহ বিভিন্ন প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ৩০ সেকেন্ডে শনাক্ত করা হচ্ছে যক্ষ্মা রোগী।

জানা যায়, নাটোরের গ্রামেগঞ্জেও এ পদ্ধতি প্রয়োগ করে যক্ষ্মা রোগ শনাক্ত করছে সিভিল সার্জন অফিসের চিকিৎসকরা।

উপসর্গ থাকা রোগীদের ফুসফুস এক্স-রে করে মাত্র ৩০ সেকেন্ডেই জানানো হচ্ছে ফলাফল। রোগ নির্ণয় দ্রুত ও বিনামূল্যে হওয়ায় সন্দেহভাজন রোগীদের আগ্রহ বাড়ছে এ পরীক্ষায়।

সন্দেহভাজন হওয়ায় মেয়ে রাশিদা খাতুন তার মা মরিয়মকে পরীক্ষা করাতে নিয়ে আসেন সিংড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। যক্ষ্মা না থাকায় পরীক্ষা শেষে কেন্দ্র থেকে তাকে মেডিসিনের চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলা হয়।

রাশিদা বলেন, মাত্র ৩০ সেকেন্ডের মধ্যেই তারা ফলাফল পেয়েছেন। যক্ষ্মা না থাকায় মাকে নিয়ে তিনি এখন টেনশনমুক্ত।

এদিকে, একই কেন্দ্রে উপসর্গ নিয়ে আসা ফরিদুলের পরীক্ষায় যক্ষ্মা শনাক্ত হয়। তাকে পাঠানো হয় যক্ষ্মা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে। ফরিদুল বলেন, দীর্ঘদিন চিকিৎসা করে তার কাশি নিয়ন্ত্রণ হয়নি। পরীক্ষায় শনাক্ত হওয়ায় এবার সঠিক চিকিৎসা পাবেন বলে আশা করেন তিনি।

নাটোর সিভিল সার্জন অফিসের ডিসট্রিক্ট সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. এস এন সাদিকুল হক বলেন, জাতীয় যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচির আওতায় এবং আইসিডিডিআর,বির সহযোগিতায় যক্ষ্মায় আক্রান্ত রোগীদের শনাক্ত করছে নাটোরের সিভিল সার্জন অফিস। পরীক্ষা করতে আসা সন্দেহভাজন রোগীদের আল্ট্রা পোর্টেবল এক্স-রে মেশিনের মাধ্যমে ফুসফুস এক্সরে করা হয়।

তিনি আরো বলেন, এক্স-রে মেশিনের সঙ্গে ল্যাপটপের সংযোগ দেওয়া রয়েছে। আর ল্যাপটপে রয়েছে নেদারল্যান্ডের আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই ) পদ্ধতি। এআই পদ্ধতির মাধ্যমে যক্ষ্মা থাকলে এক্সরের রং পরিবর্তন করে ফুসফুসে কত ভাগ আক্রান্ত ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ফলাফল দিয়ে দিচ্ছে। আর শনাক্ত হওয়া রোগীদের দ্রুত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে পাঠানো হয়।

নাটোরের সিভিল সার্জন ডা. মুহাম্মদ মশিউর রহমান বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে সরকার যক্ষ্মা নিয়ন্ত্রণ করতে প্রথম পর্যায়ে রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের সব জেলায় এ এআই পদ্ধতিতে যক্ষ্মা শনাক্ত করা হচ্ছে। আর জেলায় প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে পরীক্ষার স্থান নির্বাচন করা হয়। স্থানীয় এনজিওগুলোর মাধ্যমে সন্দেহভাজন রোগীদের পরীক্ষার জন্য আনা হয় পূর্ব নির্ধারিত স্থানে।

নাটোর জেলায় চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি থেকে এআই পদ্ধতিতে যক্ষ্মা রোগী শনাক্তকরণ শুরু হয়। গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ২ হাজার ৮৪৩ জনকে পরীক্ষা করে ১২৩ জন যক্ষ্মা রোগী শনাক্ত করা হয়।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়