ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ২ ১৪৩১

করোনা জয়ী এসিল্যান্ড হিমাদ্রি খিসা ভয় পেলেও মনোবল শক্ত ছিল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:০৫, ৫ জুলাই ২০২০  

অ্যাসিল্যান্ড হিমাদ্রি খিসা

অ্যাসিল্যান্ড হিমাদ্রি খিসা

করোনা জয় করলেন ৩৪তম বিসিএস ক্যাডারে হিমাদ্রি খিসা। তিনি ভৈরবের এসিল্যান্ড দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত ১৭ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হন। তার পর থেকে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।

সোমবার শেষ রিপোর্টে করোনার নেগেটিভ এলে তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ছাড়পত্র দেয়া হয়। তিনি এখন সুস্থ রয়েছেন। অ্যাসিল্যান্ড হিমাদ্রি খিসার বাড়ি রাঙ্গামাটি সদর এলাকায়।

জানা যায়, সরকারি নির্দেশনা পালন করতে গিয়ে অ্যাসিল্যান্ড হিমাদ্রি খিসা গত ১৬ এপ্রিল অসুস্থ হন। একই দিন তার নমুনা পরীক্ষা করতে ঢাকায় পাঠানো হয়। পর দিন তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

এর পর তিনি চিকিৎসকের পরামর্শে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকেন। গত ২৬ এপ্রিল ও ১ মে দুবার তার নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুটি রিপোর্টই এবার নেগেটিভ আসে। সোমবার শেষ রিপোর্টে তার করোনার নেগেটিভ এলে তাকে ভৈরব উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে করোনামুক্ত ছাড়পত্র দেয়া হয়।

এ বিষয়ে হিমাদ্রি খিসা জানান, ভৈরববাসীর কাজ করতে গিয়েই আমি করোনায় আক্রান্ত হই। তবে আমি চিন্তিত হয়নি। কারণ আমার শরীরে করোনার কোনো উপসর্গ ছিল না। প্রথমে করোনায় আক্রান্তের খবরে কিছুটা ভয় পেলেও মনোবল শক্ত ছিল আমার। পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযারী বাসায় থেকে ওষুধ সেবন করেছি এবং সব নিয়ম-কানুন মেনে চলেছি।

তিনি বলেন, আমি কাজের মানুষ হয়েও ২০ দিন ঘরবন্দি হয়ে অস্বস্তিতে ছিলাম। টিভি দেখে আর বই পড়ে সময়টা পার করেছি। আশা করছি মঙ্গলবার থেকে আবার কাজে ফিরব। করোনায় আক্রান্তদের মনোবল শক্ত রেখে নিয়মিত ওষুধ সেবনসহ নিয়ম- কানুন মেনে চলার পরামর্শ দেন তিনি।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বুলবুল আহমেদ জানান, সোমবার হিমাদ্রি খিসার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তার আক্রান্তের কারণে প্রশাসনের গতি কিছুটা কমে গিয়েছিল।

কারণ করোনার সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এককভাবে সব প্রশাসনিক কাজ করতে গিয়ে বিড়ম্বনার কবলে পড়েছেন। এতে আমারও কিছুটা সমস্যায় পড়তে হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লুবনা ফারজানা জানান, কিশোরগঞ্জ জেলার ১৩ উপজেলার মধ্য প্রশাসনে ম্যাজিস্টেট হিসেবে আক্রান্ত হয় একমাত্র হিমাদ্রি খিসা। এতে আমিসহ জেলা প্রশাসক নিজেও আতঙ্কিত ছিলাম। ভৈরবের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরীতে করোনার সময়ে অনেক কাজ করতে হয়। প্রশাসনে আমরা দুজনই কাজ করি।

এ সময়ে হিমাদ্রি করোনায় আক্রান্তে আমার কাজ ও কষ্ট বেড়ে যায়। দিনরাত কাজ করেছি। আজ তার করোনামুক্তের খবরে আমিও স্বস্তি ফিরে পেলাম।

জানা যায়, হিমাদ্রি খিসা ৩৪তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে প্রশাসনে চাকরি পেয়ে প্রথমে বাগেরহাট সদরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে সহকারী কমিশনার হিসেবে কর্মস্থলে যোগদান করেন।

তার পর ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা উপজেলায় অ্যাসিল্যান্ড হিসেবে বদলি হন। এর পর গত বছরের ৭ ডিসেম্বর ভৈরব উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) হিসেবে কাজে যোগদান করেন। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে লেখাপড়া করেন।

আরও পড়ুন
সারাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত
সর্বশেষ
জনপ্রিয়