ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

গত ১৭ দিনে শিক্ষক নিয়োগে এ পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৭০ হাজার আবেদন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৭, ২১ এপ্রিল ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বেসরকারি স্কুল-কলেজ, কারিগরি ও মাদরাসায় ৫৪ হাজার ৩০৪টি শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ দিতে তৃতীয় ধাপের নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ৩০ মার্চ গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ)। আর ৪ এপ্রিল থেকে শুরু আবেদন প্রক্রিয়া।

গত ১৭ দিনে এ পর্যন্ত ৪৩ লাখ ৭০ হাজার আবেদন এসেছে। এ বাবদ বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় করেছে। আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২ পর্যন্ত আবেদন কার্যক্রম চলবে।

এনটিআরসিএ সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশ ৪৩ লাখ ৭০ হাজার নিবন্ধিত চাকরিপ্রত্যাশী প্রার্থীর আবেদন জমা হয়েছে। অনেকে নিয়োগ নিশ্চিত করতে ৫০০টি পর্যন্ত আবেদন করেছেন। প্রতিটি আবেদন বাবদ ১০০ টাকা করে মোট ৪৩ কোটি ৭০ লাখ টাকা আয় করেছে এনটিআরসিএ। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত প্রায় ৫০ লাখ আবেদন আসতে পারে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশে বিসিএস ক্যাডার পদের চাকরি লোভনীয় ও ব্যাপক চাহিদা সম্পন্ন হলেও চলতি বছর করোনার জন্য ৪৩তম বিসিএসে কয়েক দফায় সময় বাড়ালেও উল্লেখ্যযোগ্য প্রার্থীর আবেদন আসছে না। সেখানে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষক নিয়োগের জন্য অপেক্ষামান ৬ লাখ এনটিআরসিএ-এর নিবন্ধিত ৬ লাখ প্রার্থীর সাড়ে ৪৩ লাখের বেশি আবেদন জমা হয়েছে।

জানতে চাইলে এনটিআরসিএ-এর চেয়ারম্যান আশরাফ উদ্দিন মঙ্গলবার জাগো নিউজকে বলেন, তৃতীয় ধাপে নিয়োগ পেতে এ পর্যন্ত সাড়ে ৪৩ লাখের বেশি আবেদন জমা হয়েছে। অনেকে চাকরি নিশ্চিত করতে অনেকগুলো করে আবেদন করছে বলে এই সংখ্যা আরও বেড়েছে।

তিনি বলেন, যারা নম্বরে কিছুটি পিছিয়ে রয়েছে, তারা কিছুটি দুশ্চিন্তায়ও রয়েছে। তারা চাকরি নিশ্চিত করতে একাধিক আবেদন করছেন। যারা নম্বরে এগিয়ে রয়েছে, তারা বেশি আবেদন করছে না।

চেয়ারম্যান আরও বলেন, ১৬তম নিবন্ধন পরীক্ষা শেষ না হওয়ায় তাদের তৃতীয় ধাপে নিয়োগ কার্যক্রমে যোগদানের সুযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। তবে তারা লিখিতভাবে এ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে একাধিক আবেদন করে চলমান নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত রাখতে অনুরোধ জানাচ্ছে।

নিয়োগ কার্যক্রম শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক পরিচালিত হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমারা চাইলে এ কার্যক্রম স্থগিত রাখতে পারি না। বিষয়টি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। আগামী ৩-৪ চার মাস পর চতুর্থ ধাপে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে বলেও তাদের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়