ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চাঁদের পথে চীনের মহাকাশযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪০, ২৪ নভেম্বর ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

চাঁদের পথে এখন চীনের মহাকাশযান। আট দিন পর তা পৌঁছবে চাঁদের কক্ষপথে। তারপর শুরু হবে চাঁদ থেকে পাথর-মাটি আনার কাজ। যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়ার পর চীনই হবে বিশ্বের তৃতীয় দেশ, যারা চাঁদ থেকে পাথর আনবে।

চীনের সব চেয়ে বড় রকেট লং মার্চ ৫ থেকে পাঠানো হয়েছে মহাকাশযানটি। স্থানীয় সময় ভোর সাড়ে চারটের সময় রকেটের সফল উৎক্ষেপণ হয়। আট হাজার ২০০ কেজি ওজনের এই মহাকাশযানটি চাঁদের কক্ষপথে পৌঁছাবার পর শুরু হবে ল্যান্ডার ও অ্যাসেন্ডারের চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের কাজ। ল্যান্ডারের রোবোটিক হাত চাঁদের মাটি ও পাথর নিয়ে তা অ্যাসেন্ডারে জমা করবে। তারপর অ্যাসেন্ডার আবার চাঁদের কক্ষপথে ফিরবে। সেখানে অ্যাসেন্ডার যুক্ত হবে মহকাশযানের সঙ্গে। রিটার্ন ক্যাপসুলে পাথর, মাটি দিয়ে দেবে। তারপর পৃথিবীতে ফেরার যাত্রা শুরু হবে। সব ঠিক থাকলে ২৩ দিন পরে তা আবার ফিরে আসবে পৃথিবীতে।

এর আগে চীন চাঁদে মহাকাশযান পাঠিয়েছে। গত বছর তা চাঁদে নেমেছে। গত জুলাইতে তারা মঙ্গলেও মহাকাশযান পাঠিয়েছে। ২০২২ সালে তারা মহাকাশকেন্দ্রও স্থাপনের পরিকল্পনা করেছে। তারপর ২০২৯ সালে হবে তাদের বৃহস্পতি অভিযান।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কিছু ল্যান্ডার-রোভার কম্বিনেশন চাঁদে পাঠায় চীন। তাদের পাঠানো চ্যাং’ই-৪ মহাকাশযানটি চাঁদের দূরবর্তী এক অংশ স্পর্শ করে। সবশেষ পাঠানো চেং’ই-৫ ‘ওশানাস প্রসেলারাম’ নামের উচ্চ আগ্নেয়গিরিপ্রবণ অঞ্চলের মনস রুমকারের কাছে যাওয়ার কথা রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপোলো নভোচারী ও সোভিয়েত লুনা রোবটের সংগৃহীত পাথরের তুলনায় মনস রুমকারের পাথর অনেক বেশি নতুন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছরের পুরোনো পাথর সংগ্রহ করে। আর চীন ১৩০ কোটি বছরের কাছাকাছি পুরনো পাথর সংগ্রহ করতে যাচ্ছে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়