জনসমর্থন হারানোর শঙ্কায় রাজশাহী বিএনপি
নিউজ ডেস্ক
সংগৃহীত
একাদশ সংসদ নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয়ের পর থেকে রাজশাহীতে প্রায় জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বিএনপি। চলমান করোনা সংকটে জনগণের পাশে না থেকে আরো বিএনপির রাজনৈতিক দুর্দশা চলছে বলেও মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
এই দু:সময়ে অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়িয়ে নিজেদের সমর্থন ফিরিয়ে পাবার একটা সুযোগ ছিলো দলটি। কিন্তু সাধারণ মানুষতো দূরের কথা, দলের কর্মী-সমর্থকদের পাশেও থাকছেন না বিএনপির নেতারা। এর ফলে জনসমর্থন হারানোর শঙ্কায় পড়েছে দলটি। কেবল সঠিক সিদ্ধান্তের অভাবে দলটি জনগণের মন জয় করার সুযোগ হারাচ্ছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাজশাহী নগর বিএনপির কয়েকজন কর্মী জানান, মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে বিএনপির নেতারা কেউ কারো পাশে দাঁড়াচ্ছেন না। খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না নেতাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে রাজশাহী জেলা বিএনপির এক কর্মী জানান, দলের দু:সময়ে আমরা সবসময় মিছিলে, মিটিংয়ে সরব ছিলাম। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতিতে কর্মীদের কোনো কাজ নেই। অনেকেই বেকার, বাসায় বসে আছে। এসব কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে দলের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন ছিলো। কিন্তু এমন অবস্থায় খোঁজ নেই দলের নেতাদের।
সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশে বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ। কেন্দ্রীয় সহযোগিতা না পাওয়ায় রাজশাহীতে জনসাধারণ ও দলের কর্মীদের পাশে দাঁড়াতে পারছে না জেলা বিএনপি। অর্থ সংকট ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে স্থবিরতায় দলের কর্মী ও জনসমর্থন হারাচ্ছে বিএনপি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পরিচয় গোপন রাখার শর্তে রাজশাহীর এক সামাজিক সংগঠনের নেতা বলেন, একটি রাজনৈতিক দলের মূল কাজই বিপদে-আপদে জনগণের পাশে থাকা। যা রাজশাহী আওয়ামী লীগ করোনা সংকটের শুরু থেকেই করে আসছে। কিন্তু বিএনপির নেতারা জনগণ তো দূরে থাক, নিজেদের দুস্থ নেতাকর্মীদের পাশেই থাকতে পারছেন না। তারা ঘরে বসে শুধু সরকারের সমালোচনা করছেন। এতে নিজেদের সমর্থন হারাচ্ছে রাজশাহী বিএনপি।
এ বিষয়ে রাজশাহী জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য গোলাম মোস্তফা মামুন বলেন, দলের হাই কমান্ডের নির্দেশে দরিদ্র মানুষদের সহায়তা দেয়া হয়েছে। কেন্দ্র থেকে কোনো সহযোগিতা দেয়া হয়নি। কিন্তু দলের কর্মী-সমর্থকদের জন্য স্থানীয়ভাবে ফান্ড তৈরি করে সহায়তা করা হয়েছে।
রাজশাহী জেলা বিএনপির আহবায়ক আবু সাঈদ চাঁদ বলেন, দলের দরিদ্র কর্মী-সমর্থকদের সহায়তা দেয়ার জন্য দলের কেন্দ্র থেকে কোন বরাদ্দ আসেনি। তবে জেলায় যারা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের স্থানীয়ভাবে ওষুধ ও খাদ্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে।
অন্যান্য নেতাদের অবস্থার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নেতারা সবাই রাজশাহীতে থাকেন না। কেউ কেউ ঢাকায় থাকেন। নির্বাচন আসলে তাদের দেখা যায়। কিন্তু এই দু:সময়ে তাদের কোনো পাত্তা নেই। তারা যদি এগিয়ে আসতো তাহলে আরো বেশি অসহায় লোকজনকে সাহায্য করা যেত।
- ময়মনসিংহ বোর্ডের প্রথম এসএসসি পরীক্ষায় পাশ ৮০.১৩ শতাংশ
- ময়মনসিংহে কেওয়াটখালী সেতুর জন্য ২৬০ মিলিয়ন ডলার ঋণ বরাদ্দ
- ভালুকায় শিল্পপতির পা কেটে নেওয়ায় প্রধান আসামীসহ চার জনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব
- ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার ফজলুল কবির
- রাজধানীর ১৫ থানায় আনসার-ভিডিপির ত্রাণ বিতরণ
- আম্ফানের তাণ্ডবে রাজশাহীতে ঝরে গেছে ২০ শতাংশ আম
- নৌকা চালিয়ে ও টিউশনি করে জিপিএ-৫ পেয়েছে শাপলু
- পটুয়াখালীতে নির্মিত হচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ১২ সেতু
- মারা গেলেন মুক্তিযোদ্ধা প্রলয় মৈত্র
- নরসুন্দর, রঙমিস্ত্রী ও কর্মহীন ১০০ জনকে জেলা প্রশাসনের সহায়তা