ঢাকা, শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

জাইমার নতুন বছরে ৫৬ কোটি টাকার গাড়ি চাই-ই চাই!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:৫৭, ২ ডিসেম্বর ২০২০  

ছবি- সংগৃহীত

ছবি- সংগৃহীত

দুর্নীতির মাধ্যমে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে বিদেশে পাচার করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। যুক্তরাজ্যে ফেরারি আসামি হিসেবে উদ্বাস্তু জীবন যাপনের নামে করছেন রাজকীয়ভাবে বসবাস। বাবার হাজার কোটি টাকার সম্পদের বিষয়টি জানতে পেরে তাই আকাশছোঁয়া আবদার করতে ভুললেন না তারেক কন্যা জাইমা রহমান।

জানা গেছে, নতুন বছরে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্চ মেব্যাক মডেলের গাড়ির আবদার করেছেন জাইমা। তারেকও ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই মেয়েকে এই বিলাসবহুল গাড়ি কিনে দিতে চেয়েছেন।

যুক্তরাজ্যের কিংস্টন ভিত্তিক একাধিক গোপন সূত্র বলছে, দেশ থেকে হাজার কোটি টাকার বেশি লন্ডনে পাচার করে উদ্বাস্তুর মর্যাদায় পলাতক জীবন যাপন করছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার পরিবার। পরিচয়ে উদ্বাস্তু ও পলাতক আসামি হলেও তারা চলাফেরা করেন বাদশাহি স্টাইলে, থাকেন বিলাসবহুল বাড়িতে। শুধু তাই নয়, মেয়েরা সামান্য মার্কেটে গেলেও চড়েন দামি গাড়িতে।

দুর্নীতির টাকায় রাজসিক জীবন যাপনে অভ্যস্ত তারেক কন্যারা সম্প্রতি বাবার বিপুল অর্থ-বিত্তের বিষয়ে জানতে পেরেছেন। তাই ভুলও করেননি ‘বিলাসী বায়না’ ধরতে।
বড় মেয়ে জাইমা রহমান তার বাবাকে বলেছেন, ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে প্রায় ৫৬ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্চ মেব্যাক মডেলের গাড়ি তার চাই-ই চাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বছরে এই মডেলের গাড়ি মাত্র ৩টি উৎপাদন করে মার্সিডিজ বেঞ্চ কোম্পানি। শুধুমাত্র রাজসিক ভাব, গতি ও স্টাইলের কারণে তাই বিশ্বব্যাপী এই মডেলের গাড়িটি পছন্দ করেন ধনীর দুলালীরা। তবে চাইলেই পাওয়া যায় না এই বিলাসবহুল গাড়ি। আগেভাগে যোগাযোগ করতে হয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে।

এ কারণে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসেই যাতে মার্সিডিজ বেঞ্চ মেব্যাক মডেলের গাড়িটি কেনা যায়, সেজন্য বাবা তারেক রহমানের কাছে ‘আদুরে আবদার’ করেছেন জাইমা। প্রথমে কিনে দিতে রাজি না হলে জাইমা দু’দিন খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে দেন। পরবর্তীতে বাধ্য হয়েই মেয়ের আকাশছোঁয়া আবদারে রাজি হয়েছেন তারেক। গাড়িটি পেতে তারেক জার্মানি বিএনপির সভাপতি আকুল মিয়ার মাধ্যমে মার্সিডিজ কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে ৩০ কোটি টাকা অ্যাডভান্সও দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

জাইমা রহমানের বিলাসবহুল গাড়ি কেনার বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় লন্ডন বাঙালি কমিউনিটিতে ব্যাপক সমালোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই বলছেন, করোনার মধ্যে বিশ্বব্যাপী মানবিক বিপর্যয় দেখা দিলেও তারেক কন্যা জাইমা মেতেছেন বিলাসবহুল গাড়িতে। আর তার অনৈতিক দাবি মেনে নিয়ে তারেক রহমান অন্যায়ের সাথে আপোষ করছেন। অর্থের কুপ্রভাবে জাইমা রহমানরা মানুষের পরিবর্তে অমানুষ হয়েছে বলেও মন্তব্য বাঙালি কমিউনিটির সদস্যদের।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়