ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

জান্নাতে যাওয়ার সহজ ৩ আমল

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:৪৫, ১৭ আগস্ট ২০২০  

‘কেউ জানে না তার জন্য কৃতকর্মের কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।’ (সূরা: সাজদাহ, আয়াত: ১৭)।

‘কেউ জানে না তার জন্য কৃতকর্মের কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।’ (সূরা: সাজদাহ, আয়াত: ১৭)।

জান্নাত। পারিভাষিক অর্থে জান্নাত বলতে এমন স্থানকে বোঝায়, যা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা তাঁর অনুগত বান্দাদের জন্য নির্দিষ্ট করে রেখেছেন। 

জান্নত সম্পর্কে পবিত্র কোরআনুল কারিমে রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা বলেন,

فَلَا تَعۡلَمُ نَفۡسٞ مَّآ أُخۡفِيَ لَهُم مِّن قُرَّةِ أَعۡيُنٖ جَزَآءَۢ بِمَا كَانُواْ يَعۡمَلُونَ 

‘কেউ জানে না তার জন্য কৃতকর্মের কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।’ (সূরা: সাজদাহ, আয়াত: ১৭)।

আবু হোরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘মহান আল্লাহ এরশাদ করেন, ‘আমি আমার নেক বান্দাদের জন্য এমন নেয়ামত তৈরি করে রেখেছি, যা কোনো চক্ষু দেখেনি, কোনো কান শোনেনি এবং এমনকি কোনো মানুষ তা কল্পনাও করতে পারে না। এরপর তিনি বলেন, যদি তোমরা চাও, তাহলে নিম্নোক্ত আয়াতটি পড়ো। যার অর্থ হলো, ‘কেউ জানে না, তার জন্য কি কি নয়নাভিরাম বিনিময় লুকায়িত আছে।’ (বুখারি, ৩২৪৪; মুসলিম, ২৮২৪)।

চলুন তাহলে আমরা মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালার অশেষ নেয়ামতের সেই নয়নাভিরাম জান্নাতে যাওয়ার সহজ ৩ আমল সম্পর্কে জেনে নিই।

১. ফজর ও আসরের সালাত সঠিক সময়ে আদায় করা: 

প্রিয় নবী রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি দুইটি ঠাণ্ডা সময়ের (অর্থাৎ, ফজর ও আসর) সালাতের হেফাজত করবে, সেই ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে।’ (সহিহ বুখারি: ৫৭৪, সহিহ মুসলিম: ১৪৭০)।

এই দুইটি সময়ে ব্যস্ততা বা ঘুমের কারণে অনেকেই উদাসীন হয়ে সালাত কাযা করে ফেলে। একারণে এই দুইটি সালাত হেফাজত করার বিশেষ ফজিলত হিসেবে সে জান্নাতে যাবে।

২. প্রতিদিন সূরা মুলক পড়া:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘কোরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সূরা আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষ পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেয়া হবে। আর সেটা হলো ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিইয়াদিহিল মুলক’ (সূরা: মুলক)।’
(তিরমিযী: ২৮৯১, আবু দাউদ: ১৪০০, ইবনে মাজাহ: ৩৭৮৬, হাদিসটি সহিহ, শায়খ আলবানী)।

৩. অহংকার, গুলুল ও ঋণ থেকে মুক্ত থাকা:

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি অহংকার, গুলুল ও ঋণ; এই তিনটি জিনিস থেকে মুক্ত থাকা অবস্থায় মারা যাবে, সেই ব্যক্তি জান্নাতে যাবে।’ (ইবনে মাজাহ: ২৪০৩, তিরমিযী: ১৫৭২, হাদিসটি সহিহ, শায়খ আলবানী, সহিহ তিরমিযী)।

‘গুলুল’ অর্থ হচ্ছে খিয়ানত, অর্থাৎ জিহাদে প্রাপ্ত গনীমতের সম্পদ বন্টন করার পূর্বেই লুকিয়ে রেখে বা চুরি করে আত্মসাৎ করা।

মহান রাব্বুল আলামিন আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে উক্ত বিষয়গুলোর ওপর আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়