জি-৭ সম্মেলন: জলবায়ু সুরক্ষায় প্রতিশ্রুতি
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ছবি: সংগৃহীত
জলবায়ু সুরক্ষার মাধ্যমে পৃথিবীর ভবিষ্যৎ রক্ষায় জরুরি পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জি-৭ নেতারা। জলবায়ু পরিবর্তন ও কার্বন নির্গমন রোধে তারা নতুন সংরক্ষণ এবং লক্ষ্য চূড়ান্ত করেছেন।
যুক্তরাজ্যের কারবিস বেতে আয়োজিত তিন দিনের সম্মেলন শেষে পশ্চিমা ঐক্যের পুনর্জন্ম পরিদর্শন করেন। জি-৭ নেতারা ‘নেচার কম্প্যাক্ট’ নামে চুক্তি সই করেছেন, যাতে জীববৈচিত্র্য সুরক্ষা ও নষ্ট রোধ করার বিষয়টি রয়েছে। এ ছাড়া ২০১০ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে তাদের কার্বন নির্গমন অর্ধেকে কমিয়ে আনার প্রতিশ্রুতির কথাও রয়েছে।
বৈঠকে তারা দশকের শেষ নাগাদ বিশ্বজুড়ে ভূমি ও সমুদ্রের কমপক্ষে ৩০ শতাংশ সুরক্ষা দিতে সম্মত হয়েছেন। করোনা মহামারির কারণে প্রায় দুই বছর পর বিশ্বের ধনী দেশগুলোর নেতারা মুখোমুখি বৈঠকে বসলেন। উন্নয়নশীল দেশগুলোয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের জি-৭ একটি টাস্কফোর্স প্রতিষ্ঠা করবে। এই সম্মেলন শেষে ইশতেহারে আগামী বছরের মধ্যে ৮৪ কোটি ডোজ করোনার টিকা সহজলভ্য করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাইবার হামলা চালানোর দায়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানায় জি৭-এর নেতারা। বুধবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বৈঠকের কথা রয়েছে।
এবারের জি-৭ সম্মেলনে অগ্রাধিকারের তালিকায় ছিল করোনা মোকাবিলা ও জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি। আগামী নভেম্বরে জাতিসংঘের কপ২৬ সম্মেলনের আগে এ বিষয়ে ভিত্তি স্থাপনের প্রচেষ্টা করা হয়েছে এবারের সম্মেলনে।
জি–৭–এর ইশতেহার
বিবিসি জানিয়েছে, এবারের জি–৭ সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক ইশতেহার এখনো প্রকাশ করা হয়নি। তবে তারা কারবিস বেতে খসড়া ইশতেহার দেখেছে। ওই ইশতেহারের কোভিড–১৯ অংশে রয়েছে, আগামী বছরের মধ্যে ৮৪ কোটি ডোজ করোনার টিকা সহজলভ্য করা। জি–৭ সম্মেলন থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানে সময় উপযোগী, স্বচ্ছ, বিশেষজ্ঞদের নেতৃত্বে বিজ্ঞানভিত্তিক কোভিড-১৯–এর উৎসের তদন্ত করতে হবে।
জি-৭ একটি টাস্কফোর্স প্রতিষ্ঠা করবে, যাতে উন্নয়নশীল দেশগুলোয় অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য একটি পরিষ্কার ও সবুজ বৃদ্ধির তহবিল স্থাপন করা যায়। তবে এ ক্ষেত্রে তহবিলের পরিমাণ উল্লেখ করা হয়নি।
নতুন করে বন্ধন সৃষ্টি
ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের ক্ষমতার অবসানের পর জি-৭–এর সাত দেশ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালি, জাপান ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরের মধ্যে নতুন করে বন্ধন সৃষ্টির জন্য আগ্রহী হয়েছেন। জো বাইডেন তার পূর্বসূরির একাকী চলার পথ ছেড়ে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যাওয়ার পথ বেছে নিয়েছেন। তিনি পশ্চিমা মিত্রদের সঙ্গে নতুন অধ্যায় শুরুর কথাও বলেছেন। এবারের সম্মেলনে করোনাভাইরাস মহামারির মতো জীবন ও জীবিকাবিধ্বংসী আর কোনো বৈশ্বিক মহামারি যাতে ভবিষ্যতে না হয়, তা ঠেকানোর লক্ষ্যে একটি পরিকল্পনা গ্রহণের ঘোষণা চূড়ান্ত করেছেন শিল্পোন্নত সাতটি দেশের জোট জি-৭-এর নেতারা।
চীনের বিরুদ্ধে এককাট্টা
বিশ্বে চীনের আধিপত্য ও আগ্রাসন রুখে দিতে কৌশলগত পরিকল্পনা ঘোষণা করতে এককাট্টা হয়েছে জি-৭ দেশগুলো। চীনের প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংয়ের নেওয়া বেল্ট অ্যান্ড রোডস ইনিশিয়েটিভ কর্মসূচির (বিআরআই) প্রভাব থেকে বিশ্বের শতাধিক দেশকে মুক্ত করতেই পাল্টা পরিকল্পনা নিয়েছেন তাঁরা। বিল্ড ব্যাক বেটার ওয়ার্ল্ড (বি৩ডাব্লিউ) কর্মসূচির আওতায় উন্নয়নশীল দেশগুলোতে কাঠামোগত উন্নয়নে বিশাল অঙ্কের সহায়তা দিতে যাচ্ছে জি-৭। জি–৭ নেতারা জিনজিয়াং অঞ্চলে সংখ্যালঘুদের মানবাধিকারের বিষয়টিকে সম্মান দিতে ও হংকংকে সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
- সোনিয়া গান্ধীর হাতেই থাকছে কংগ্রেসের নেতৃত্ব
- বাংলাদেশের সঙ্গে আরো জোরালো সম্পর্ক গড়ার উদ্যোগ ভারতের
- ভিয়েতনাম যুদ্ধের চেয়েও করোনায় বেশি প্রাণহানি যুক্তরাষ্ট্রে
- ‘বৈশ্বিক সম্পর্কের দিকে’ এগোচ্ছে চীন!
- করোনার তাণ্ডবে প্রাণ গেল ২ লাখ ১১ হাজার মানুষের
- সিরিয়ায় বোমা বিস্ফোরণে শিশুসহ নিহত ৪০
- গত ২৪ ঘণ্টায় এক লাখ ২৫ হাজার আক্রান্ত
- মৃতের সংখ্যা তিন লাখ ৬৭ হাজার ছুঁইছুঁই
- ট্রাম্প জাতিসংঘে ‘রাজনৈতিক ভাইরাস’ ছড়াচ্ছে: চীন
- নাভালনিকে নিরাশ করেনি ভোটাররা