ঢাকা, শনিবার   ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

জিয়া পরিবার এক ভয়ংকর ভাইরাস; বাংলাদেশের ক্যান্সার

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৩, ১৭ জানুয়ারি ২০২২  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বিএনপি সরকারের ১৯৯১-১৯৯৬ সাল পর্যন্ত শাসনামলে দেশে আনুমানিক দুর্নীতির পরিমাণ ছিল ৯ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা।২০০১-২০০৬ সাল পর্যন্ত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে দেশে আনুমানিক দুর্নীতির পরিমাণ ৪২ হাজার ৭৩১ কোটি টাকা।বিশ্বের কোন দেশ পরপর ৫ বার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি, যা পেরেছে শুধুমাত্র খালেদা জিয়ার ২০০১ থেকে ২০০৬ এর শাসনামল।

ছোটকাল থেকেই তারেকের বড় চোর হওয়ার লক্ষণ দেখেছিলেন খালেদা জিয়া। তাই ছেলেকে নিয়ে আসেন রাজনীতিতে এবং বানিয়ে দেন বিশ্বচোর। সেন্ট জোসেফ স্কুলে তারেক কে ভর্তি করানো হলে সে বারবার ফেল করে। পড়ালেখায় অর্ধশিক্ষিত ছেলেকে খালেদা নিয়ে আসেন দলের নেতৃত্বে এবং বানাতে থাকেন একের পর এক দুর্নীতির কালো পাহাড়। বিশেষ করে ২০০১ সালে বিএনপি জামাত জোট ক্ষমতায় আসলে তারেক হয়ে উঠে রাজনীতির গডফাদার।বাংলাদেশী গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব জাস্টিস তখন তারেক রহমানের ১২ কোটি টাকা আটক করেছিল।তারেক ও তার ব্যবসায়িক পার্টনার গিয়াসউদ্দিন আল মামুন সিঙ্গাপুরে সিটিএনএ ব্যাংকে ২১ কোটি টাকা পাচার করে। আমেরিকার এফবিআই এ ব্যাপারে তদন্ত করেছে।তারেক রহমানের নামে লন্ডনের একটি ব্যাংকে প্রায় ছয় কোটি টাকা পাওয়া গেছে এবং তা জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া তারেক রহমান বেলজিয়ামে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার, মালয়েশিয়ায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার পাচার করেছিলেন। দুবাইতে কয়েক মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়ি (বাড়ির ঠিকানা: স্প্রিং ১৪, ভিলা: ১২, এমিরেটস হিলস, দুবাই)।

ব্যক্তিগত রোজগার না থাকলেও লন্ডনে পরিবার নিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করছেন একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত তারেক জিয়া। প্রতিমাসে খরচ করেন লাখ লাখ টাকা। ব্যবহার করেন একাধিক বিলাসবহুল গাড়ি। বাজার করেন লন্ডনের অভিজাত বিপণি বিতানে। বসবাস করেন লন্ডনের ব্যয় বহুল অভিজাত এলাকায়। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্রে জানা গেছে, তারেক জিয়ার লন্ডনে এমন বিলাসী জীবন যাপনে ব্যয় হওয়া টাকার অধিকাংশ অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে পাচার করা হয় বলে যে অভিযোগ উঠেছে তার তদন্ত করছে গোয়েন্দা সংস্থা।

বর্তমানে তারেক রহমান থাকেন লন্ডনের কিংসটনে।কিংসটন এলাকায় তারেক রহমান যে বাড়িতে থাকেন তার মূল্য ১৫লক্ষ পাউন্ড।বর্তমানে একই এলাকায় তারেক আর একটি বিলাশবহুল বাড়ি কিনেছেন যার মূল্য ৪৫লক্ষ পাউন্ড।তারেক রহমান নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করেন পন্ডার্স এ্যান্ডের টেসকো দোকান থেকে। কেনাকাটায় সহায়তা করতেন আলোচ্য বিএনপি নেতার রেস্টুরেন্টের কয়েক বিশ্বস্ত কর্মচারী। প্রায় প্রতিদিনই রেস্টুরেন্ট থেকে খাবার আসত তারেক রহমানের পরিবারের জন্য। প্রতিমাসে লেক সাইড ও বøু ওয়াটার এবং সেন্ট্রাল লন্ডনের সেলফ্রিজেস থেকে শপিং করতেন। এছাড়া সেলফ্রিজেসের হোম এক্সেসরিজেও যেতেন। সেলফ্রিজ ও বøু ওয়াটার যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে বিলাসবহুল এবং ব্যয়বহুল শপিং মল। ব্রিটেনের ধনীরাই সাধারণত সেখানে কেনাকাটা করে থাকেন।

তারেক রহমানের পরিবারের জন্য ৫টি বিলাশবহুল গাড়ি রয়েছে।যার মধ্যে রয়েছে মার্সিডিজ বেঞ্জ ১টি,ল্যান্ডরোভার জিপ ১টি, ল্যান্ডক্রুজার জিপ ১টি,লেক্সাস ১টি এবং ১টি বিএমডব্লিউ গাড়ি।

যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত প্রতিষ্ঠান ‘ইনার টেম্পল’ থেকে বার অ্যাট ল’ (লিঙ্কস ইন) করেন তারেক কন্যা জাইমা রহমান।এর আগে তিনি লন্ডনের কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি সম্পন্ন করেন।ব্রিটেনের ধনী পরিবারের সন্তানরা এখানে পড়াশোনা করেন।কুইন মেরি বিশ্ববিদ্যালয় এর একজন শিক্ষার্থী থেকে জানা যায় সেই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করতে বাংলাদেশের প্রায় ৪০ থেকে ৫০লাখ টাকা খরচ হয়।জাইমা রহমান যে গাড়ি ব্যবহার করে থাকে তার দাম বাংলাদেশের ১কোটি ৬০লাখ টাকা।

লন্ডনে সিলেটের বিএনপি নেতাদের রেস্টুরেন্ট প্রায় ২০-২৫জন কর্মচারী তারেক রহমানের বাসায় কাজ করে থাকেন।কর্মচারীর সমস্ত বেতন দিয়ে থাকেন সিলেটের বিএনপির এক প্রভাবশালী নেতা।

লন্ডনের অভিজাত এলাকায় ড. কামাল হোসেনের জন্য বাড়ি কিনে দিয়েছেন তারেক জিয়া। গত অক্টোবর থেকেই এই বাড়িতে থাকছেন ড. কামাল হোসেনের জামাতা ডেভিড বার্গম্যান। অনুসন্ধানে দেখা গেছে, লন্ডনের অত্যন্ত ব্যয়বহুল এলাকা কেনিংটন (Kensington)। এই এলাকায় প্যালেস গার্ডেন ডব্লিউ৮ সড়কে একটি বিলাসবহুল বাড়ির মালিক এখন ড. কামাল হোসেন।

গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, লন্ডনে বিভিন্ন বাঙালি রেস্টুরেন্টের মালিকরা তারেক রহমানকে অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করছেন। তাঁদের মধ্যে বেশিসংখ্যক ব্যবসায়ীর বাড়ি আবার সিলেটে। সিলেটি এসব ব্যবসায়ী ও তাঁদের আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে টাকা পাচার হয়ে পৌঁছে যাচ্ছে লন্ডনে তারেক রহমানের কাছে।তারেক রহমানের অন্যতম অর্থদাতা হিসেবে বিএনপির নির্বাহী সদস্য তাবিথ আউয়ালের নাম আসে। এই অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করে। দুদক সূত্র জানায়, তাবিথের পর অন্তত ১০ জন ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাঁদের বিরুদ্ধে লন্ডনে অবৈধ অর্থপাচারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ব্যবসায়ীর বাড়ি সিলেটে।

লন্ডনে পলাতক তারেক রহমান ২০১৮ সাল থেকে পরিবার নিয়ে উচ্চাভিলাষী জীবন যাপন করে আসছেন। যদিও তিনি কোনো কিছুই করেন না সেখানে।তারেকর রহমানের ঘনিস্ট সূত্রে জানা গেছে,একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নের নামে তারেক রহমান কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছিল।এবং বর্তমানেও বিভিন্ন কমিটি এর মাধ্যমে অনেক লেনদেন করে থাকে তারেক রহমান।তার মূল ব্যবসা এটি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়