ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

জুনে এসে জানুয়ারিতে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভুলে গেলো বিএনপি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:২৪, ১৪ জুন ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

চলতি বছরের শুরুতে খানিকটা জোরেশোরে রাজপথে নামার পরিকল্পনা ছিল ১৪ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা দল বিএনপির। দলটির শীর্ষ স্থানীয় নেতারাও সেই পরিকল্পনার অংশের সাথে তাল মিলিয়ে জানুয়ারিতে করা সভা-সমাবেশে বলেছেন, ‘এ বছরই সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজবে।’ কিন্তু করোনা মহামারীর কারণে সেই পরিকল্পনা খুব একটা পাখা মেলেনি। গত বছরের মতো এ বছরও স্বাস্থ্যবিধির বাধ্যতামূলক বেড়াজালেই চলছে দলটির রাজনৈতিক কর্মসূচি। তবে ভার্চুয়াল কিংবা অডিটোরিয়াম-নির্ভর সাম্প্রতিক সভাগুলোতে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়ে উত্তাপ ছড়াচ্ছেন নেতারা। যদিও সমালোচকরা বিষয়গুলোকে মনে করছেন ফাঁকা বুলি।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সর্বশেষ যে তিনটি সভায় বক্তব্য রেখেছেন, তাতে তিনি নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে কঠোর আন্দোলনে নামার বিষয়টি অত্যন্ত পরিষ্কার করে বলেছেন। সঙ্গে অভ্যন্তরীণ কোন্দল ও দলের সমন্বয়হীনতার কথাও স্বীকার করেছেন।

গত ৭ জুন ডক্টরস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-ড্যাবের এক আলোচনা সভায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, আমরা পুনরায় গর্জে উঠবো। বছরের শুরুতে আমরা বলেছিলাম এ বছর কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবো। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত করোনাভাইরাসের কারণে তা সম্ভব হয়নি। যদিও অনেকে বলছেন, বিএনপির আন্দোলন করার শক্তি নেই। বিষয়টি ভুল। আমরা আন্দোলন করতে জানি, তা সময় মতো প্রমাণ হবে। আপাতত করোনাভাইরাসের কারণে আন্দোলন করা সম্ভব হচ্ছে না। তবে করোনাভাইরাসের প্রকট কমলে আমরা আপন শক্তিকে জ্বলে উঠবো।

এদিকে মির্জা ফখরুলের কথাকে অবাস্তব বলে আখ্যায়িত করে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, বাস্তবতা মেনে নিতে সমস্যা কোথায়? আমরা যদি আন্দোলন করতে পারতাম, তবে করোনা পথের বাধা হতে পারতো না। করোনাভাইরাস আসার আগেও আমরা আন্দোলনের ডাক দিয়ে ব্যর্থ হয়েছি। এখন করোনাকে উছিলা করে আমরা নিজেদের ব্যর্থতাকে ঢাকার চেষ্টা করছি। এসব সাধারণ মানুষ বোঝে। আমাদের উচিত, ধৈর্য ধরে দলকে গুছিয়ে পুনরায় মাঠে নামা। তাহলে নিশ্চয় আজ নয় তো কাল আমরা জয়ী হবোই।

উল্লেখ্য, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের এমন বক্তব্যের পর বিএনপি মহাসচিব কারো সঙ্গে কোনো কথা না বলে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসময় তাকে খানিকটা বিমর্ষ দেখাচ্ছিল।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়