ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

জুলুম এক ভয়াবহ পাপ

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

জুলুম একটি ভয়াবহ পাপ। যে পাপ আল্লাহ সহজে মাফ করবেন না। কেউ যদি কাউকে জুলুম করে মাজলুমের কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিতে হবে। অন্যথায় মাফ হবে না। কিয়ামতের ময়দানে প্রতিটি অপকর্মের জন্য কড়ায়গণ্ডায় হিসাব দিতে হবে। পবিত্র কুরআনে কারিমে আল্লাহ সব মুসলিম নর-নারীকে সতর্ক করে দিয়েছেন, ‘তোমরা কারো প্রতি জুলুম করিও না।’ আল্লাহ পাকের ঘোষণাÑ আল্লাহ জুলুমকারীদের হিদায়াত দেন না।’ কারণ জালিমকে আল্লাহ তায়ালা পছন্দ করেন না। অর্থাৎ তোমরা যদি জুলুমি কাজে লিপ্ত হও তবে অবশ্যই তোমাদের আমল গ্রহণযোগ্য হবে না।

হজরত জাবের রা: থেকে বর্ণিতÑ রাসূল সা: বলেছেন, ‘তিনটি বৈশিষ্ট্য যার মধ্যে থাকবে কিয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে নিজ রহমতের ছায়াতলে আশ্রয় দেবেন এবং তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। তা হচ্ছেÑ ১. দুর্বলের সাথে উত্তম ব্যবহার করা; ২. মা-বাবার প্রতি উত্তম ব্যবহার করা; ৩. অধীনস্থদের সাথে উত্তম ব্যবহার করা।

এখন আমরা জুলুম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারব জুলুম বলতে কী বোঝায়? জুলুম হচ্ছে কারো বৈধ ইচ্ছার বিরুদ্ধে শক্তি প্রয়োগ, কারো অর্থ-সম্পদ অন্যায়ভাবে গ্রাস করা কিংবা লুটে নেয়া। এমন কি কোনো মুসলমান ভাইকে অন্যায়ভাবে আচার-আচরণে কষ্ট দেয়াও এক প্রকার জুলুম। উচ্চ পদ-পদবির লোকেরা নিচু পদের লোকদেরকে অন্যায়ভাবে হস্তক্ষেপ করা বা ক্ষমতার অপব্যবহার করা, ক্ষমতার জোরে যোগ্য ব্যক্তিকে অযোগ্য স্থানে নেয়া আর অযোগ্য ব্যক্তিকে যোগ্য স্থানে নেয়াও জুলুম। যে সমাজে অধিক পরিমাণে জুলুমি কাজ বিদ্যমান থাকবে, সেখানে আল্লাহর রহমত বর্ষিত হবে না। বরং বিভিন্ন আজাব-গজবে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

যেখানে গজব আসবে সব মানুষকেই তার পরিণাম ভুগতে হবে। আমরা এ ব্যাপারে অনেকেই একটু খেয়াল করি না। আমরা কি কারো প্রতি জুলুম করেছি কি না, কোনো মুসলমান ভাই-বোন জুলুমের শিকার হচ্ছে কি না। আমরা যদি সুস্থ মস্তিষ্কে তাকাই তবে বুঝতে পারব বর্তমান সমাজে কত ধরনের জুলুমি কাজ চলছে।

পরিবার থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত জুলুম আর জুলুম। এক শ্রেণীর নিরীহ মানুষই বেশি জুলুমের শিকার হচ্ছে। নারীরাও ধর্ষিত হওয়ার মতো অমানবিক জুলুমের শিকার। কাজেই আমাদের সাবধান হওয়া উচিত, আমরা যেন কারো প্রতি জুলুম না করি, সব খারাপি কাজ থেকে দূরে থাকি। প্রত্যেকেই নেককার বান্দাদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাই। আল্লøাহর ইবাদত-বন্দেগিতে লিপ্ত হয়ে সুন্দর ও সাফল্যময় জীবন গড়ে তুলি।

আল্লাহ আমাদেরকে ঈমানদার বান্দা হিসেবে কবুল করুন, আমীন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়