ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

তারেক রহমানের ছাত্রদল : বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীকে ধর্ষণ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩  

তারেক রহমানের ছাত্রদল : বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীকে ধর্ষণ

তারেক রহমানের ছাত্রদল : বিশ্ববিদ্যালয়ের সহপাঠীকে ধর্ষণ

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের অস্ত্রের মহড়ার অসহায় হয়ে পড়েছিল শিক্ষক ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এমনকি উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও নারী শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালাতো তারা। প্রাণের ভয়ে মুখ খুলতে সাহস পেতো না কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক ভুক্তভোগী। কিন্তু সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা মীর্জা মাহবুবুল হক সাদী তার ক্যাম্পাসের সহপাঠীকে ধর্ষণের পর উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।

প্রভাবশালী ছাত্রদল নেতা সাদীকে এই ধর্ষণে সহযোগিতা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজা শরীফ কামাল ও সাধারণ সম্পাদক মামুন অর রশীদ শান্তসহ আরো চার নেতা। তাদের বিচারের দাবিতে পুরো ক্যাম্পাস উত্তাল হলে গুলি ও বোমা ফুটিয়ে মহড়া দেয় ছাত্রদলের ৫০-৬০ জন সশস্ত্র নেতাকর্মীরা। এমনিক পুলিশের সামনে প্রকাশ্যে গুলি-বোমা ফুটিয়ে শিক্ষার্থীদের বিচারের দাবি ভণ্ডুল করে দেওয়ার চেষ্টা করে তারা। শিক্ষকরা জানান, বিএনপির ক্ষমতাসীন সিনিয়র নেতাদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে ধর্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।

২০০৪ সালের ১৭, ১৮ এবং ১৯ এপ্রিল প্রথম আলো পত্রিকার সংবাদ থেকে এসব তথ্য জানা যায়। আরো জানা যায়, টানা কয়েকদিনের আন্দোলনের কারণে ধর্ষকের ছাত্রত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু পুলিশ তখনো তাকে গ্রেফতার করেনি। উল্টো শাহ পরাণ হলে দলবল নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং আন্দোলনকারীদের ওপর নির্যাতনে মেতে ওঠে সে। খালেদা জিয়া সরকারের উচ্চ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সাথে সুসম্পর্কের কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এই ধর্ষকের টিকিটিও ছুঁতে পারেনি।

শুধু সিলেট নয়, রাজশাহী-চট্টগ্রাম ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও একাধিক নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটায় ছাত্রদল নেতারা। এছাড়া বুয়েটে তো এক সাধারণ নারী শিক্ষার্থী সনিকে গুলি করেই হত্যা করলো এই সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও জেলা-উপজেলা শহরগুলোতে তারেক রহমানের এই গুণ্ডা বাহিনীর সন্ত্রাস ও নির্যাতন ছাড়িয়ে গিয়েচিল সব রকমের সীমা। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ ও স্কুল কলেজের মেয়েদের অনেকের শিক্ষা জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে বিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছেন সাধারণ ভদ্র পরিবারের বাবা-মায়েরা। খালেদা জিয়ার প্রশ্রয় এবং তারেক রহমানের আশীর্বাদপুষ্ট হওয়ায় এতোটাই নৃশংস হয়ে উঠেছিল এই গুণ্ডা বাহিনী।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়