ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৪ ১৪৩০

তারেকের ভয়ে নির্বাচন ফেলে আত্মগোপনে বিএনপি নেতা আবু আসিফ

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪৬, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩  

তারেকের ভয়ে নির্বাচন ফেলে আত্মগোপনে বিএনপি নেতা আবু আসিফ

তারেকের ভয়ে নির্বাচন ফেলে আত্মগোপনে বিএনপি নেতা আবু আসিফ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির দলছুট প্রার্থী আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী আবু আসিফ আহমেদের খোঁজ নেই। গত শুক্রবার দিবাগত রাত থেকে তিনি নিখোঁজ। তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

আবু আসিফ আহমেদ আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক বিএনপি নেতা ও ওই আসন থেকে পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়ার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী।

বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্দেশনার বাইরে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচনে যাওয়ায় বেজায় চটেছিলেন তারেক রহমান। আবু আসিফকে নির্বাচন না করার জন্য নিষেধও করেছিলেন তিনি। তারপরও কথা শোনেননি আশুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির এই নেতা। গত বৃহস্পতিবার (২৬ জানুয়ারি) দলের নির্দেশ অমান্য করার অপরাধে চিরতরে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার ধ্বংস করে দেওয়ার হুমকি দেয় তারেক রহমান।

সেজন্যেই নির্বাচনের ঠিক আগ মুহুর্তে কোনো উপায় না পেয়ে গা ঢাকা দিয়েছেন বিএনপির এই স্বতন্ত্র প্রার্থী।

উপনির্বাচনে অংশ নিতে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সময়ে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। ৮ জানুয়ারিতে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করা হয়। আট প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের তিনজন স্বতন্ত্র প্রার্থী দলীয় সিদ্ধান্তে তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নেন।

এখন পর্যন্ত নির্বাচনী মাঠে আছেন বিএনপির দলছুট পাঁচবারের সাবেক সংসদ সদস্য উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া (কলার ছড়া), আবু আসিফ আহমেদ (মোটর গাড়ি), জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব আবদুল হামিদ ভাসানি (লাঙ্গল) ও জাকের পার্টির জহিরুল ইসলাম (গোলাপ ফুল)। চারজনের মধ্যে আবু আসিফ আহমেদ জোরেশোরেই প্রচারণা চালাচ্ছিলেন।

আবু আসিফ অভিযোগ করে আসছিলেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাকে দল থেকে চাপ দেওয়া হচ্ছিল। আবু আসিফের স্ত্রী মেহেরুন্নিছা বলেন, ‘গত দুই দিন ধরে আমার স্বামী কোথায় আছে, জানি না।

আপনার স্বামী আত্মগোপনে আছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেরুন্নিছা বলেন, ‘তিনি আত্মগোপনে যাওয়ার লোক নন। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ছিলেন, পরিবারের একটা ঐতিহ্য আছে। অবাধ-নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমরা বিজয়ী হতাম।’

নিখোঁজের বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছেন কি না কিংবা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন কি না জানতে চাইলে মেহেরুন্নিছা বলেন, আমিও ভয়ের মধ্যে আছি। 

সর্বশেষ
জনপ্রিয়