ঢাকা, শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ১৫ ১৪৩০

ত্বক ও চুলের যত্নে আমলকি

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৪২, ২৭ জানুয়ারি ২০২১  

আমলকি (ছবি : সংগৃহীত)

আমলকি (ছবি : সংগৃহীত)

দীর্ঘদিন ধরেই রূপচর্চায় ব্যবহার হয়ে আসছে ভেষজ গুণ সম্পন্ন আমলকি। প্রায় সবাই আমলকির রসের স্বাস্থ্য উপকারিতা সম্পর্কে জানি। তবে চিকিৎসা ব্যবস্থায় এর ব্যবহার সম্পর্কে সচেতন নয় অনেকেই। সহজলভ্য এই ফলটি ত্বকের জেল্লা ধরে রাখে এবং চুলকে চকচকে ও খুশকিমুক্ত করতেও সহায়তা করে। জেনে নিন ত্বকের যত্নে আমলকির ব্যবহার-

ব্রণের দাগ দূর করে

আমলকি প্রাকৃতিক উপায়ে ব্রণের দাগ দূর করতে সহায়তা করে। আমলকির রস মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিটের জন্য রেখে দিন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। আপনার ত্বক যদি সংবেদনশীল হয় তবে পানির সাথে রস মিশিয়ে প্রয়োগ করুন। আরও ভালো ফল পেতে এই চিকিৎসার সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখুন।

মৃত কোষ দূর করে

আমলকির রস ফেস স্ক্রাব হিসাবে ব্যবহার করা যায়। কারণ এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা ফুটিয়ে তুলতে সহায়তা করে। আমলকিতে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট এবং ভিটামিন সি ত্বককে টানটান ও দৃঢ় করে। এক চামচ আমলা গুঁড়ো নিয়ে গরম পানিতে মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। আপনার মুখ স্ক্রাব করতে এই পেস্টটি ব্যবহার করুন। পাঁচ মিনিট হয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে পেস্টে কিছুটা হলুদও যোগ করতে পারেন। এতে ত্বকের উজ্জ্বলতা আরও বৃদ্ধি পাবে।

চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে

চুল পড়া নিয়ন্ত্রণে আমলকি বেশ কার্যকর। কয়েক টুকরো শুকনো আমলকি নিয়ে পানিতে সিদ্ধ করুন। পুরোপুরি সিদ্ধ হয়ে গেলে এগুলো ম্যাশ করুন এবং একটি পাল্পি পেস্ট তৈরি করুন। এই মিশ্রণটি মাথার ত্বকের পাশাপাশি চুলের গায়েও প্রয়োগ করতে পারেন। প্রতি সপ্তাহে অন্তত একবার ব্যবহার করুন। এটি চুল পড়া নিয়ন্ত্রণ করে।

আর চুলে কাঁচা আমলকির রস ব্যবহার করলে আধা ঘণ্টা পরে ধুয়ে ফেলুন। পাতলা এবং শুকনো চুল এড়াতে নিয়মিত চুল ধুয়ে নেওয়ার আগে আমলকির তেল ব্যবহার করতে পারেন। আমলকির তেল চুলের দুর্দান্ত কন্ডিশনার। এটি চুলকে প্রাকৃতিক চকচকে ভাব এনে দেয়।

আমলকির তেল তৈরি

বাড়িতে আমলকির তেল তৈরির জন্য এক কাপ তাজা আমলকি থেকে বীজ সরিয়ে নিন। আমলকিতে পানি না দিয়ে মিক্সারে পিষে নিন। এরপর ছেঁকে নিন এবং একটি পাত্রে রস রেখে দিন।

তারপর একটি প্যানে এক কাপ নারকেল তেল এবং আমলকির রস সিদ্ধ করুন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট জ্বাল করলে বাদামী রঙ তৈরি হবে। রঙ হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে এটি ঠান্ডা হতে রেখে দিন। এরপর মিশ্রণটি ছেঁকে একটি কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। স্বাস্থ্যোজ্বল ও বাউন্সিযুক্ত চুল পেতে গোসলের ২০ মিনিট আগে এটি চুলে প্রয়োগ করতে পারেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়