ঢাকা, মঙ্গলবার   ১৯ মার্চ ২০২৪ ||  চৈত্র ৫ ১৪৩০

দলের নেতাদের খোঁজ রাখছেন না তারেক, লন্ডনে করছেন আয়েশি জীবন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩৬, ১৮ মে ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী জনজীবন বিপর্যস্ত হলেও থেমে নেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আয়েশি জীবন। জানা গেছে, ব্যক্তিগত রোজগার না থাকলেও লন্ডনে পরিবার নিয়ে বিলাসী জীবনযাপন করেই যাচ্ছেন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মতো ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসের মাস্টার-মাইন্ড ও দুর্নীতিবাজ এই নেতা।

লন্ডনে তারেক রহমানের বিষয়ে খোঁজখবর রাখেন এমন একাধিক সূত্রের বরাতে তারেক রহমানের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়ে তথ্য মিলেছে।

তারেক রহমান প্রতি মাসে খরচ করেন বাংলাদেশি মুদ্রায় অন্তত ২৫ লাখ টাকা। ব্যবহার করেন দুটি বিলাসবহুল গাড়ি। বাজার করেন অভিজাত বিপণিবিতান থেকে।

লন্ডনভিত্তিক সূত্রটি আরো জানায়, তারেক রহমান প্রবাসে উদ্বাস্তু জীবনযাপনের নামে বিলাসিতা করায় দেশে-বিদেশে এবং দলের ভেতরে বাইরে রীতিমতো আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। এছাড়া বিলাসী জীবনযাপনে ব্যয় হওয়া টাকার অধিকাংশ অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে লন্ডনে পাচার করা হয় বলেও অভিযোগ রয়েছে।

রাজনৈতিক আশ্রয়ের অজুহাতে প্রবাসে বিলাসী ও বেহিসাবি জীবনযাপনের জের ধরে তারেক রহমানের যাবতীয় সম্পদ, আয় ও ব্যয় হওয়া অর্থের উৎস সম্পর্কে তদন্তে নেমেছে যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

জানা গেছে, যুক্তরাজ্যে অনেকটা প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়ান তারেক রহমান। প্রকাশ্যে ঘোরাফেরার কারণেই তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপন সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য প্রকাশ পেয়ে যায়।

শুধু যে মানুষের মুখে মুখে তাই নয়, রীতিমতো গণমাধ্যমেও প্রকাশ পেয়েছে তারেক রহমানের বিলাসী জীবনযাপনের নানা কাহিনি।

বর্তমানে তারেক রহমান বসবাস করছেন লন্ডনের কিংস্টনে। এ এলাকার ৩/৪ বেডরুমের বাসার মাসিক ভাড়া ১২শ’ থেকে ৫ হাজার পাউন্ড পর্যন্ত। সি ব্যান্ডের বাসার জন্য কাউন্সিল ট্যাক্স ১৪৭৪ পাউন্ড ৬৭ পেন্স। বিদ্যুৎ, গ্যাসসহ ইউটিলিটি বিল ন্যূনতম ১৫০ পাউন্ড। পরিবারের যাতায়াত খরচ কমপক্ষে একশ পাউন্ড প্রয়োজন। এছাড়া লন্ড্রি, পোশাক, সংবাদপত্র, মোবাইল ও টেলিফোন বিলসহ আরো কমপক্ষে ৭ থেকে ৮শ’ পাউন্ড খরচ আছে। সব মিলিয়ে প্রতি মাসে ন্যূনতম ৪ হাজার পাউন্ড খরচ রয়েছে তারেক রহমানের।

এছাড়া তারেক রহমান প্রতি সপ্তাহের রোববার আয়েশ করতে লন্ডন ক্যাসিনোতে বসেন। সেখানে এক বসায় তিনি সর্বনিম্ন ১ লাখ টাকার জুয়া খেলেন এবং উক্ত ক্যাসিনোতে অবস্থিত বেয়ারাদের প্রতিমাসে অন্তত ১ লাখ টাকার বকশিস দেন। মাস শেষে হিসাব করে দেখা যায়, তারেক রহমান কাসিনোতে অন্তত ২০ লাখ টাকা ব্যয় করেন।

বিগত প্রায় ১০ বছর ধরে লন্ডনে বসবাস করছেন তিনি। দীর্ঘ সময়ে তিনি কোনো অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত নন। তার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানও কিছু করেন না।

একটি সূত্রটি বলছে, তারেক রহমান ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় পেয়েছেন। বাংলাদেশে তারেক রহমান ও তার মা বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বেশ কয়েকটি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করা আছে। তারপরেও তারেক রহমান বিলাসী জীবনযাপন করে যাচ্ছেন, যা রীতিমতো বিস্ময়ের ব্যাপার।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়