ঢাকা, শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় গ্রেপ্তার ৫৮৪ জন

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২০:০৫, ২৩ অক্টোবর ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

কুমিল্লার একটি মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশব্যাপী সনাতন সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংসতার অভিযোগে, ২০ হাজার ছয়শ' ১৯ জনকে অভিযুক্ত করে মোট ১০২ টি মামলা দায়ের হয়েছে। এদের মধ্যে ৫৮৪ জনকে এ পর্যন্ত গ্রেপ্তার করেছে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, ৩৭টি জেলা ও তিনটি মহানগরীতে মোট ১১৭ প্লাটুন আধা-সামরিক বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের সদস্যদের মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটলিয়ন (র‌্যাব) এবং সাদা পোশাকে আইন-শৃংঙ্খলা বাহিনী চব্বিশ ঘন্টা টহল দিচ্ছে। 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৃহস্পতিবার ঘোষণা করেন, সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ঘর তৈরি করে দেওয়া হবে। গণভবনে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, 'ইতোমধ্যে এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।' 

রংপুরের পীরগঞ্জ মাঝি পাড়ার সাম্প্রদায়িক হামলা খুবই পরিকল্পিত। এলাকা ঘুরে দেখার পর এমন মন্তব্য করেছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী। 

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র বলেন, বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে সরকার 'জিরো টলারেন্স' নীতি ঘোষণা করেছে।

পুলিশ সদর দপ্তর জানিয়েছে, স্যোশাল মিডিয়া এবং অনলাইন মিডিয়াগুলো নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, এবং বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপকসহ দুই ডজনেরও বেশী লোককে গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 

স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয় ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা, পৌরসভা, জেলা পরিষদ এবং সিটি কর্পোরেশনসহ সকল জনপ্রধিনিধিদের সতর্ক থাকতে এবং নিজ নিজ এলাকায় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে যথাযথ ভূমিকা পালনের জন্য নির্দেশনা জারি করেছে এবং এ লক্ষ্যে রোববার ভার্চুয়াল বৈঠক করবে মন্ত্রনালয়।

উল্লেখ্য, গত ১৩ অক্টোবর কুমিল্লার নানুয়াদিঘীর পাড়ে একটি অস্থায়ী পূজামণ্ডপে কোরআন রাখার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জেলায় সনাতন সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, তাদের বাড়ি-দোকান ভাঙচুর, নারী নির্যাতন ও হত্যার মতো ঘটনা ঘটে। এরইমধ্যে এই ঘটনার মূল হোতা অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন ধরা পড়েছেন।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়