ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

দেশে ব্রডব্যান্ড-আইওটি-এআই ক্ষেত্রে অগ্রগতি

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৩৫, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থাকা সত্ত্বেও বাংলাদেশ আইসিটি খাতে অগ্রগতি বজায় রেখেছে। ২০১৯ সালের চেয়ে ২০২০ সালে দেশটি ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে।

সম্প্রতি হুয়াওয়ের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স-২০২০ এর প্রকাশিত প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে। 

সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা- এই চার স্তম্ভের অধীনে মোট ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে হুয়াওয়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। মূল্যায়িত হওয়া মোট ৭৯ টি দেশকে তিনটি বিভাগে বিভক্ত করা হয়। যেমন- ফ্রন্টরানার্স, অ্যাডাপ্টারস এবং স্টার্টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়, বাংলাদেশ প্রথম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করে।

প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে। এর ফলে এই বছর বাংলাদেশের পোর্টফোলিওতে আরো তিনটি পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার হুয়াওয়ের পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ব্রডব্যান্ড কভারেজটিতে বাংলাদেশের স্টার্টার্সরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, স্টার্টার্সদের গড় মোবাইল ব্রডব্যান্ড অনুপ্রবেশ ২.৫ গুণ, ৪জি সাবস্ক্রিপশন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের মোবাইল ব্রডব্যান্ডটি ২৫ শতাংশ বেশি সাশ্রয়ী হয়েছে।

এই অর্জনগুলো স্টার্টার্স গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলোকে আরো উন্নত ডিজিটাল পরিষেবা সরবরাহ করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সুযোগ গ্রহণ করতে সক্ষম করেছে। এছাড়া ২০১৪ সালের পর থেকে তাদের ই-কমার্স ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।

জিসিআই ২০১৯ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে ডিজিটাল অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও উন্নতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে।

জিসিআইয়ের এই প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে গ্লোবাল কানেকটিভিটি সূচকে বাংলাদেশ আট পয়েন্ট এগিয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় দেশটি ২০২০ সালে এই ৪০টি সূচকের মধ্যেএআই ও আইওটি সম্পর্কিত সম্ভাবনা বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ এবং ফোর জি সংযোগে অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে। 

জিসিআইয়ের ২০২০ সালের প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, শিল্পের ডিজিটাল রূপান্তর দেশগুলোকে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে জাগ্রত করতে এবং ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক বিকাশে সহায়তা করবে।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়