ঢাকা, বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দেশের ১৪৩ কারখানা স্বীকৃতি পেল ইউএসজিবিসি’র

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৯, ১৩ জুন ২০২১  

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

দেশের ১৪৩টি কারখানাকে পরিবেশবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি)। এরমধ্যে ৪১টি বাংলাদেশি পোশাক কারখানা ‘লিড প্লাটিনাম’ সনদ পেয়েছে। এছাড়া ‘লিড গোল্ড’ পেয়েছে ৮৯টি এবং ‘লিড সিলভার’ পেয়েছে ১১টি। দুটি কারখানা পরিবেশবান্ধব হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

শনিবার তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংগঠনটির সভাপতি ফারুক হাসান।

তিনি বলেন, ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল (ইউএসজিবিসি) থেকে এ সনদ দেয়া হয়েছে।

ফারুক হাসান বলেন, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাটাগরিতে বিশ্বের শীর্ষ ১০০টি কারখানার ৩৯টিই বাংলাদেশে অবস্থিত। আরো প্রায় ৫০০টি কারখানা সার্টিফিকেশনের অপেক্ষায় রয়েছে। দেশের তৈরি পোশাকশিল্প উদ্যোক্তাদের দূরদর্শিতা ও প্রবল ইচ্ছাশক্তি ও উদ্যোগের কারণে এ অর্জন সম্ভব হয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, পোশাকখাতে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনার পর আমরা শিল্পটিকে পুনর্গঠনের চ্যালেঞ্জ নেই। বিগত প্রায় এক দশকে আমাদের উদ্যোক্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম, নিরাপত্তা খাতে হাজার কোটি টাকা ব্যয় এবং সরকার-ক্রেতা-উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তায় আজ বাংলাদেশের পোশাকশিল্প একটি নিরাপদ শিল্প হিসেবে বিশ্বের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে।

তিনি বলেন, পরিবেশ ও শ্রমিকদের নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে আমরা শিল্পে আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের এ উদ্যোগ ও অর্জন বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, এ খাতে নিরাপদ, টেকসই ও পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নে গর্ব করার মতো কিছু অর্জন তুলে ধরতে চাই। হংকংভিত্তিক আন্তর্জাতিক অডিট প্রতিষ্ঠান ‘কিউআইএমএ’-এর মতে, এথিকাল সোর্সিংয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষস্থানে রয়েছে। মূলত গ্লোবাল সাপ্লাই-চেইনের গুণগত মান, কমপ্লায়েন্স, কর্মঘণ্টা ও শ্রম মানের বিভিন্ন দিক মূল্যায়ন করে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটি এমন একটি সময়ে এসেছে যখন করোনা মহামারির কারণে এ শিল্প একটি সংকটময় সময় পার করছে। শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এ অর্জন নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য অত্যন্ত গর্বের বিষয়।

তিনি আরো বলেন, লিঙ্গ বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রেও এ শিল্প কাজ করে যাচ্ছে। পাশাপাশি, কমপ্লায়েন্স, কারখানায় পেশাগত নিরাপত্তা বিধানেও বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি সাধন করেছে। এসব অর্জনের মাধ্যমে যে বিষয়টি প্রমাণিত হয় তা হলো- আমাদের সহনশীলতা, উদ্যোক্তাদের একনিষ্ঠতা, গতিশীলতা, ত্যাগ ও ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয়। আর এসব অর্জনের মাধ্যমে আমরা আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের আস্থা ধরে রাখতে সফল হয়েছি। বিশ্বে বাংলাদেশ তার দ্বিতীয় স্থান ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছে।

বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, গত ১০ বছরে আমরা রফতানি দ্বিগুণের বেশি করতে সক্ষম হয়েছি। ২০১১ সালে যেখানে রফতানি ছিল ১৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার, সেখানে ২০১৯ সালে আমরা ৩৩ দশমিক এক বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছি। ২০২০ সালে রফতানিতে বৈশ্বিক মহামারির প্রভাব খুবই স্পষ্ট।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়