ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

নরকের দরজায় আগুন জ্বলছে, নেভাতে পারছেন না কেউ!

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬:৩০, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২  

নরকের দরজায় আগুন জ্বলছে, নেভাতে পারছেন না কেউ!

নরকের দরজায় আগুন জ্বলছে, নেভাতে পারছেন না কেউ!

মধ্য এশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ দেশ তুর্কমেনিস্তান। এটি পৃথিবীর ৫২তম বৃহত্তম দেশ। এই দেশটি এক সময় ছিল সোভিয়েত ইউনিয়নের অংশ। বর্তমান তুর্কমেনিস্তানের রাজধানী আশগাবাত থেকে ২৬০ কিলোমিটার দূরে দারভাজা গ্রাম।  এই গ্রামে রয়েছে ‘নরকের দরজা’খ্যাত এক খনি। এটি ১৯০ ফুট প্রশস্ত এবং ৭০ ফুট গভীর। 

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গর্তটি প্রথম ১৯৭১ সালে সৃষ্টি হয়েছিল। সোভিয়েত ভূতাত্ত্বিকেরা বিশাল কারাকুম মরুভূমিতে একটি প্রাকৃতিক গ্যাসের গর্ত খনন অভিযানের সময় এটি সৃষ্টি হয় বলে অনেকের বিশ্বাস। 

এরপরে তারা দাবি করেন, ভুলবশত এটি হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত এর সঠিক কারণ কেউ বলতে পারেননি। স্থানীয় ভূতাত্ত্বিকদের ধারণা, ১৯৬০ সালের দিকে এই গর্ত তৈরি হয় এবং ১৯৮০ সাল থেকে এখানে আগুন জ্বলতে শুরু করে।

জানা যায়, গ্যাস অনুসন্ধানের সময় অনুসন্ধানকারীরা গ্যাসবহুল গুহার মধ্যে মৃদু স্পর্শ করলে দুর্ঘটনাক্রমে মাটি ধসে পুরো ড্রিলিং রিগসহ পড়ে যায়। সে সময় এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি। প্রাথমিকভাবে গবেষণা করে বিষাক্ত মিথেন গ্যাসের ব্যাপারে গবেষকরা নিশ্চিত হন। পরিবেশে বিষাক্ত গ্যাস প্রতিরোধ করার জন্য ভূতত্ত্ববিদরা তখন গ্যাস উদ্গিরণ মুখটি জ্বালিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বিজ্ঞানীদের ধারণা ছিল এখানে সীমিত পরিমাণ গ্যাস থাকতে পারে। কিন্তু তাদের ধারণা ভুল প্রমাণ করে এটি ১৯৭১ সাল থেকে অনবরত জ্বলছে।

রাতে এটি রক্তিম আভাপূর্ণ দৃশ্য তৈরি করে। রাতের দৃশ্য দেখতে হলে সেখানে তাঁবুতে থাকতে হবে। সেই ব্যবস্থা গাইডরাই করে দেন। 

 যদিও নরকের দরজা বন্ধ করার চেষ্টা  শুরু হয়েছে। ২০১০ সালেও এই গর্তের আগুন নেভানোর নির্দেশ দেন প্রেসিডেন্ট বেরদিমুখামেদভ। ২০০৬ সাল থেকে দেশটির ক্ষমতায় রয়েছেন তিনি।

তুর্কমেনিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রীকে আগুন নেভাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আগুন নেভাতে বিজ্ঞানীদের একত্র করতে বলা হয়েছে তাকে। প্রয়োজনে বিদেশি পরামর্শকদের সাহায্য নিয়ে এর সমাধান বের করতে বলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সমাধান মেলেনি।

সর্বশেষ
জনপ্রিয়